পর্যটন, উন্নয়ন আর সুন্দরবনের কান্না

সুন্দরবনের করমজলে পিকনিক করতে আসা জালিবোট ও লঞ্চের বহর। ছবি: ফাহাদ বিন তৌহীদ
সুন্দরবনের করমজলে পিকনিক করতে আসা জালিবোট ও লঞ্চের বহর। ছবি: ফাহাদ বিন তৌহীদ

বছরের শেষ দিনটায় আমরা ছিলাম সুন্দরবনের পূর্ব অভয়ারণ্যের কটকায়। কিন্তু ভোররাতে ঘুম ভেঙে লঞ্চের গলুইয়ে গিয়ে মনে হলো, পথে পথে দুই দিন পার করে শেষতক যেন প্রায় সদরঘাটে এসে উঠেছি।
ফিকে হয়ে আসা অন্ধকারে পাক খাচ্ছে ডাবের পাতলা শাঁসের মতো দলা দলা কুয়াশা। তার মধ্যে জ্বলছে অনেকগুলো বাতির লাল চোখ। গুনে দেখি ঘেঁষাঘেঁষি ছোট-বড় গোটা দশেক লঞ্চ দাঁড়িয়ে আছে, জেনারেটর মৃদু গোঙাচ্ছে।
ঢাকা ছেড়েছিলাম দুই রাত আগের কাকডাকা ভোরে, সুন্দরবন এক্সপ্রেসে। সন্ধ্যায় খুলনায় পৌঁছে জেলখানা ঘাট থেকে লঞ্চে উঠেছি। ভৈরব নদ ছেড়ে রূপসা পাড়ি দিয়ে রাতের নোঙর পশুরের বুকে। সকালে পশুর বেয়ে নেমে ঢাংমারী থেকে বন্দুকধারী বনরক্ষী আর বনভ্রমণের অনুমতিপত্র তুলে জয়মনির ঠোঁটা পেরিয়ে শ্যালা গাঙে। সূর্য ডুবল বেতমোর গাঙে। অন্ধকারে বঙ্গোপসাগর ছুঁয়ে লঞ্চ উঠল কটকা খালে।
আমরা নোঙর ফেলার পর মাইকে গান বাজিয়ে শোরগোল তুলে সেখানে পৌঁছেছিল যাত্রীবাহী ‘সুন্দরবন’ সিরিজের
আলোয় ঝলমল বড়সড় এক লঞ্চ। গান থামলে শুরু হলো জাদু প্রদর্শনীর ঘোষণা।
আমরা তখন বনরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে দাঁড় টানা নাওয়ে পাশের জামতলা শাখা খালে ঢুকছিলাম, পানি খেতে তটে আসা হরিণের চোখ দেখার আশায়। তারার আলোয় একটু দূর গিয়ে গা ছমছম করল। তা ছাড়া ‘সুন্দরবন’-এর ধুমধাড়াক্কায় কোনো প্রাণীই পাড়ের কাছে ঘেঁষার আশা ছিল না। আমরা ফিরে এলাম।
একসময় মাইক থামল। গভীর রাতে আবার ইঞ্জিনের ঘটর ঘটর। সকালে সদরঘাট দেখে বুঝলাম, সেটা ছিল আরও লঞ্চের আগমনী গান।
সকাল সাতটার দিকে আমরা নৌকা নিয়ে পাখি দেখতে জামতলা খালে ঢুকলাম। তখন কুয়াশা কেটে নরম আলো ছড়িয়ে পড়ছে। ভাটায় দুই কূলে কাদা জেগেছে। তাতে শূলের মতো উঁচিয়ে আছে অসংখ্য শ্বাসমূল-ম্যানগ্রোভ বা বাদাবনের গাছের নাক। একটা নাকের গায়ে পতপত করে উড়ছে চকচকে নীল একটা বড় পাতা। তারপর বুঝলাম, সেটা একটা পলিব্যাগ। একটু দূরে শিকড়ের জালে আটকা পড়েছে সবুজ এক চিপসের ঠোঙা, খালি পানির বোতল।
দুই কূলে গাছ, গুল্ম আর লতার জড়াজড়িতে সুন্দরবনের নিভৃত নিবিড় অন্তরের আভাস। এদিকটায় কেওড়াগাছ বেশি, সুন্দরী কম। ঠেসমূলে ভর দিয়ে বহুপদী অতিকায় কীটের মতো বাঁকিয়ে-চুরিয়ে ছড়িয়ে আছে কঁাকড়া বা কঙ্করগাছ। ধুন্দলের পাতার ফাঁকে বেলের মতো ফল—‘ক্যানন বল’। মরা-ভাঙা গাছও কম দেখলাম না।
আমাদের গাইড রবিউল খান পশুর, গেওয়া আর বাইনগাছ চেনালেন। গাছগুলোর কাণ্ডে অনেকটা উঁচু পর্যন্ত জোয়ারের পানির ছাপ। পাখার মতো পাতা ছড়ানো গোলপাতার গাছগুলোতে ফল ধরেছে। কালচে বাদামি কোষে গাঁথা ফুটবল সাইজের গোল ফল যেন মহাভারতের যুগের কোনো অস্ত্র। কয়েক বছর আগে এক গ্রামে সেই ফলের শাঁস খেয়েছিলাম। আরেক যাত্রায় খেয়েছিলাম গোলের গুড়, যা স্বাদে ঈষৎ লোনা।
নৌকা ধীরগতিতে অনেকটা ভেতরে ঢুকল। দেখা হলো একটা শঙ্খচিলের সঙ্গে। দুই জাতের দুটি মাছরাঙা মেটে আর কমলা-বাদামি-নীলের ঝলক তুলে উড়াল দিল। সুন্দরবনে মাছরাঙাই আছে নয় প্রজাতির। বড় একটা কাক উড়ছিল। দূরের বাঁকে ধ্যানমগ্ন সাদা বক। মরা গাছের আগায় নিঃসঙ্গ এক ইগল।
এখানে ধূসর-বাদামি কাদাও যেন সচল, জীবন্ত। একটা ভোঁদড় গড়াগড়ি খেতে খেতে সুড়ুৎ করে সরে গেল। কাদা খুঁড়ছিল এক বুনো শূকর। গাছের আড়ালে দু-তিনটা চিত্রা হরিণ।
বনের ভেতরে দফায় দফায় পাখিদের সভা বসছিল। ফেরার পথে তাদের তীক্ষ্ণ সুমিষ্ট গলার বাহাস শুনছি, ভটভটিয়ে এসে পড়ল পর্যটকবোঝাই একাধিক ইঞ্জিন নৌকা। মনে হলো, পাখিদের সভাটি যেন দুপেয়েদের সশব্দ আগ্রাসনের প্রতিবাদ করছে। একটা একা পাখি একটানা বলে চলল, ‘চুপ, চুউপ, চুউউপ, চুউউউপ!’
এই খালে জামতলা সমুদ্রসৈকতের হাঁটাপথে ওঠার জেটি। দু-তিন ঘণ্টা পর সেখানে গিয়ে দেখি, একের পর এক ইঞ্জিন নৌকা ভিড়ছে। জেটি উপচানো পর্যটক। একটা নৌকার মাঝি ফিচকে হেসে চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘মিছিল হয়া গ্যাছে!’
সৈকতে যাওয়ার ইচ্ছা উবে গেল। বেতমোর মোহনাঘেঁষা ছাপরাখালীর চরে চলে গেলাম। মনোরম সুনসান সেই চরেও মানুষ তার চিহ্ন ছড়িয়ে গেছে—সিগারেটের প্যাকেট, ছেঁড়া চপ্পল, পলিথিন, ‘টাইগার’ আর ফেনসিডিলের বোতল, নেশার অ্যাম্পুল…।
সুন্দরবনের তিনটি অভয়ারণ্যকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্য ঘোষণা করেছে ১৯৯৭ সালে। এরই একটিতে কটকা-কচিখালী। অভয়ারণ্যগুলো বনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এগুলো রাজকীয় বঙ্গ ব্যাঘ্র, লোনা পানির কুমির, ভোঁদড়, দুই জাতের শকুন, গাঙ্গেয় ও ইরাবতী ডলফিনসহ বেশ কয়েকটি মহাবিপন্ন, বিপন্ন ও বিপন্নপ্রায় প্রজাতির মূল প্রজননক্ষেত্র।
নদী-খালে আছে ডলফিনদের তিনটি অভয়ারণ্য। আমরা ডলফিন দেখলাম পাঁচ-ছয়টা। দুপুরের দিকে কটকা খালের তীরে একপাল বানর বসে ছিল। কাদায় ঘাপটি মেরে পড়ে ছিল কুমির বাবাজি। আমাদের লঞ্চের শব্দে পিছলে পানিতে নেমে গেল।
তবে বাঘের থাবার ছাপটুকুও দেখলাম না। সর্বশেষ বাঘ জরিপ বলছে, বাংলাদেশের সুন্দরবনে মামা আছেন মোটে ১০৬ জন। আমাদের দলে ছিলেন সপরিবার-সবান্ধব ঢাকার খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ তৌহীদুল ইসলাম। তাঁরা ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর সুন্দরবনে আসছেন। একবারও বাঘ দেখেননি।
আমাদের সারেং সাহাবুদ্দিনের মতে, অবশ্য বাঘ না দেখাই ভালো—‘একেকটা পায়ে ১৮ পুরুষের শক্তি ধরে!’ সহযোগী আলী হোসেন বলছিলেন, শীতের সকালে বাঘ পাড়ে রোদে হাঁটাহাঁটি করে। পায়ের ছাপ দেখা যায়। কিন্তু এখন চোখে পড়ে কম, কারণ মানুষ বেশি! গত সাত-আট বছরে বাংলাদেশি পর্যটক বহু গুণ বেড়েছে।
আমাদের সঙ্গে থাকা বনরক্ষী মো. বাচ্চু বিশ্বাস বলছিলেন, পর্যটন মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) অনেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ নিয়ে মৌসুমি ব্যবসায় নামেন। ‘বিভিন্ন রকম ট্যুরিস্ট আসে। সুন্দরবন যে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, অনেকে জানেই না সেটা কী।’ আলী বলেন, ‘মানুষ কেন আসে? বাঘ, বানর, পাখি দেখতে। কিছু দেখতে পাবে না। এরা আসে হাউকাউ করতে!’
‘আইসে সবাই মামু-খালুর জোর দেখায়।’ বললেন ইঞ্জিনচালক মো. ছোট। বিশেষ করে ‘ভার্সিটির পোলাপান তো কিছুই মানে না!’ এত মানুষ আর শব্দ বন্য প্রাণীদের জন্য ক্ষতিকর। আমরা গিয়েছিলাম গাইড ট্যুরস লিমিটেডের ‘ছুটি’ লঞ্চে। গাইড রবিউল বলেন, পেশাদার পর্যটন লঞ্চগুলো কমবেশি নিয়ম মানে। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লাপরোয়া।
পরদিন করমজল কুমির প্রজননকেন্দ্রে গেলাম। গিজগিজে ভিড়। হরিণের ঘেরের সামনে শাকপাতা বিক্রি হচ্ছে, বানরের ঘেরের সামনে বাদাম। এক ওস্তাদ থলিভর্তি কাটা মুরগি হাতে ‘আসেন! আসেন!’ ডাকতে ডাকতে পর্যটকদের নিয়ে কুমিরের পুকুরের দিকে ছুটলেন। মাংস ছুড়ে কুমির ডাকবেন। মোটামুটি স্বাধীন দুনিয়া!
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, হাজারে হাজারে পর্যটক লাগামছাড়া সুন্দরবনে যাচ্ছেন; বন বিভাগকে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর বন বিভাগ বলছে, তাদের লোকবল নেই, পর্যটক চলাচলের সব খবর জানার উপায় নেই। (প্রথম আলো, ১৩ জানুয়ারি ২০১৭)
২০১৪ সালের নীতিমালা অনুযায়ী বন বিভাগ সুন্দরবনে সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত ভ্রমণ অনুমোদন করবে। করমজলের মতো বন সীমান্তের কিছু পর্যটনকেন্দ্র ছাড়া বনের ভেতরে ঢুকতে বা থাকতে বন বিভাগের পূর্ব অনুমতি লাগবে। পর্যটকেরা বনে মাইক নেবেন না, জলে-ডাঙায় আবর্জনা ফেলবেন না।
লঞ্চে প্রশিক্ষিত গাইড থাকবেন। দিনের লঞ্চে ১৫০ আর রাতের লঞ্চে ৭৫ জন পর্যন্ত পর্যটক থাকতে পারবেন। সর্বোচ্চ চার রাত পাঁচ দিন থাকা যাবে। রাত ১০টার পর জেনারেটর চলবে না। অভয়ারণ্যে বন্য প্রাণীকে স্বস্তিতে থাকতে দিতে হবে। ট্যুর অপারেটররা বিধিনিষেধগুলো পর্যটকদের জানাবেন।
বন বিভাগ সুন্দরবনের বিভিন্ন জায়গায় জলযান অবস্থানের সংখ্যা বেঁধে দিয়ে তথ্যটা প্রচার করবে; গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইংরেজি ও বাংলায় বিধিনিষেধের তালিকা টাঙাবে। ভ্রমণকালে অবশ্য এসবের আলামত চোখে পড়েনি। নীতি কম নেই, কিন্তু সেগুলো মানছে কে? মানাবে কে?
ভুটানের পর্যটননীতির প্রশংসা সবাই করে। সেখানে রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবসার নীতি, খরচ বাড়িয়ে পর্যটনের কুপ্রভাব কম রাখা। খরচে রেয়াত পাওয়া আঞ্চলিক পর্যটকদের নিয়ে সমস্যা হয় দেখে তাঁদের নিয়ন্ত্রণের উপায় খোঁজা হচ্ছে। ভুটান অবশ্য উন্নয়ন মাপে মোট জাতীয় সুখের (জিডিএইচ) মাপকাঠিতে। পরিবেশকে ভালোবাসা সেখানে মানুষ ও রাষ্ট্রের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যাত্রাপথে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইনবোর্ডটা চোখে পড়েছিল। গত বছর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র ও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) যৌথ সমীক্ষা চালিয়ে বলেছে, প্রস্তাবিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের জন্য গুরুতর হুমকি। এর কয়লার ছাই আর বর্জ্য বাতাস ও পানিকে দূষিত করবে। কয়লাবাহী জাহাজ চলাচল আর নদী খনন বেড়ে বিপত্তি হবে। থাকবে শিল্প ও আনুষঙ্গিক উন্নয়নের পুঞ্জীভূত কুপ্রভাব।
সমীক্ষা প্রতিবেদনটি বলছে, ফারাক্কার কারণে মিঠা পানির প্রবাহ ব্যাপক কমছে। সেটা বড় উদ্বেগ। আছে বন্দর সম্প্রসারণসহ উপকূল উন্নয়নের নানান তৎপরতার প্রভাব। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে সুন্দরবনের পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য এমনিতেই টলছে।
ইউনেসকো রামপাল প্রকল্প বাতিল করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়াসহ অনেকগুলো সুপারিশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, এগুলো মানা না হলে সুন্দরবনের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আর এ বনের ঠাঁই হবে বিপন্ন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। (<http://whc. unesco. org/en/documents/ 148097>)
গত তিন বছরে সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকায় ক্ষতিকর পণ্য নিয়ে মোট নয়টি জাহাজ ডুবেছে (প্রথম আলো, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭)। এদিকে সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার চৌহদ্দিতে ‘প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’য় বিভিন্ন গ্রামে জমি কিনে কয়েক শ বড় বড় মানুষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ার পাঁয়তারা করছেন। (প্রথম আলো, ৯ আগস্ট ২০১৬) রাষ্ট্রীয় কোম্পানি মোবাইলের টাওয়ার বসাচ্ছে।
কাদামাটি আর খালের জটাজালে মিঠা আর লোনা পানির বোঝাপড়ায় গড়ে উঠেছে সুন্দরবনের প্রতিবেশ। স্পর্শকাতর সুতায় বাঁধা বিচিত্র প্রাণের জগৎ। সুন্দরবনের বিপদগুলোও এক সুতায় বাঁধা—মানুষের নির্বিচার ভোগ আর উন্নয়নের ক্ষুধা।
১৯৯৭ সালে সুন্দরবনে দেখেছিলাম, আগামরা রোগে সুন্দরীগাছ মরছে। ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের আগে
দেখেছি ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, জোয়ারের উচ্চতা আর লবণাক্ততায় গাছের মৃত্যু। সিডরকে ঠেকানোর চেষ্টায় ক্ষতবিক্ষত হওয়া সুন্দরবনকেও দেখেছি। এবার দেখলাম মানুষের নির্বোধ তৎপরতায় বিপন্ন এক বনকে।
কী আর বলব? সব মানুষ আর রাষ্ট্রের কানে সুন্দরবনের কান্না পৌঁছাক। আমরা ভালোবেসে সুন্দরবনের যত্ন নিতে শিখি। এ বন সুখে থাকলে আমাদেরও অনেক সুখ দেবে।
কুর্‌রাতুল–আইন–তাহ্‌মিনা: সাংবাদিক।