চট্টগ্রামে আজ একই সময়ে দেড় কিলোমিটারের দূরত্বে আ.লীগ–বিএনপির কর্মসূচি

আ.লীগ ও বিএনপির লোগো

হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার দেড় কিলোমিটারের দূরত্বে একই সময় কর্মসূচি রয়েছে দুই দলের। তবে পুলিশ বলছে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দুই দলের কর্মসূচি ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বুধবার নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে পদযাত্রা থেকে ফেরার পথে বিএনপির নেতা–কর্মীদের হামলার প্রতিবাদে এক সভা অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চত্বরে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা না হলে প্রতিবাদ সভা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন

এদিকে সরকার পতনের এক দফা দাবির পদযাত্রার কর্মসূচিতে দলের এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা তিনটায় নাসিমন ভবনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শোক র‌্যালি করবে চট্টগ্রাম বিএনপি।

নগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। পদযাত্রায় লাখো লোকের সমাগম দেখে আওয়ামী লীগে কম্পন শুরু হয়েছে। তাই তারা নিজ কার্যালয়ে হামলার নাটক সাজিয়েছে।

জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, দেড় কিলোমিটারের দূরত্বে একই সময় দুই দলের কর্মসূচি রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনায় এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ হয়। আধা ঘণ্টা পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেখান থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিএনপির পদযাত্রা থেকে ফেরার পথে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের পদপ্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এতে আওয়ামী লীগের ১৯ জন আহত হন।

আরও পড়ুন

এরপর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে ‘জয় বাংলা স্লোগান’ দিয়ে মিছিল সহকারে গিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় থেকে এক কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনের নুর আহমদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ আওয়ামী যুবলীগের কর্মীরা কার্যালয়ের সামনের সড়কে ব্যানারে আগুন ধরিয়ে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।

বিএনপির নেতাদের দাবি, আওয়ামী যুবলীগ নিজেরা নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে নাটক সাজিয়েছে। পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে হামলায় তাদের ৮ থেকে ১০ জন কর্মী আহত হন। আর আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনার জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দায়ী করে। ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে।

আরও পড়ুন