বিভাগীয় এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সকালেই চট্টগ্রামের সিআরবিতে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, ভোরে নোয়াখালী থেকে তাঁরা রওনা হয়ে সিআরবিতে আসেন। পথে তাঁরা কোনো বাধার সম্মুখীন হননি।

গোলাম হায়দার বলেন, গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তাঁরা সরকারের বিদায়ের জন্য বার্তা দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা যে কর্মসূচি দেবেন, তাঁরা তা পালন করবেন। একই কথা বললেন লক্ষ্মীপুর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন।

শুধু নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর থেকেই নয়, বিভাগের অন্যান্য জেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা নগরের সিআরবি এলাকায় এসেছেন। তাঁরা মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের একটাই দাবি, এই সরকারের পতন।

নগরের আশপাশের উপজেলা থেকেও নেতা-কর্মীরা এসেছেন সিআরবিতে। ফটিকছড়ির বিএনপিকর্মী মো. নোমান বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় যাতে বর্তমান সরকারের পতন হয়, সে জন্য তিনি গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে এসেছেন।

বিএনপির নেতারা জানান, চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের নেতা-কর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

কর্মসূচি উপলক্ষে সকালেই সিআরবিতে উপস্থিত হন বিএনপির নেতারা। কর্মসূচি পরিচালনায় রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম। সভাপতিত্ব করছেন নগর বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। বিশেষ অতিথি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নুল আবদিন ফারুক, অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান।

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান প্রথম আলাকে বলেন, সকাল থেকেই নেতা-কর্মীরা গণ-অবস্থান কর্মসূচিতে আসতে শুরু করেন। বেলা যত গড়ায়, নেতা-কর্মীদের ভিড় তত বাড়ে।