ময়মনসিংহের গণসমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পরিষ্কারভাবে বলছি, এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। সরকারকে বিদায় করে নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের পর নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে বিভাগীয় এ গণসমাবেশ আয়োজিত হয়। সমাবেশে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। বেলা দুইটায় এ সমাবেশ শুরু হয়। তবে গতকাল শুক্রবার রাত থেকেই বিএনপির বিভিন্ন জেলার অনেক নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়ে সেখানে রাত্রিযাপন করেন।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম শফিকুল ইসলাম। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ও ইকবাল হাসান মাহমুদসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ময়মনসিংহের এ গণসমাবেশের আগে নেতা-কর্মীদের নানাভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে। ককটেল, গুলি, লাঠিসোঁটা ও মোটরসাইকেলের মহড়া উপেক্ষা করে যাঁরা আজকের সমাবেশে এসেছেন, তাঁদের অভিনন্দন জানাই। ঢাকা থেকে আসার পথে গাজীপুর পার হতেই দেখেছি, সড়কে যানবাহন নেই। মনে হলো একি! হরতাল চলছে, নাকি কারফিউ। আরও সামনে এসে দেখলাম, ছোট ছোট ট্রাকে করে আমাদের কর্মীরা ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছেন। আরও শুনলাম, পথে পথে সোনার ছেলেরাও (ছাত্রলীগকে উদ্দেশ করে) নাকি লাঠি হাতে অবস্থান করছে।’
সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, অবৈধ এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের গণসমাবেশের পর সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন। তারেক রহমানও ওই সময় শিশু বয়সে কারাগারে ছিলেন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যাঁর এত অবদান, তাঁকে সরকার মিথ্যা মামলায় কারাগারে রেখেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ও পুলিশের গুলিতে বিএনপির কর্মীদের নিহত হওয়ার প্রতিবাদ এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ এ সমাবেশ করেছে। ২২ অক্টোবর খুলনা এবং পরে আরও সাতটি স্থানে এ ধরনের সমাবেশ হবে।