মিরপুরের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ঘুরেফিরে একই লোকজন মাঠে

মিরপুর-১০ নম্বরের আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে মাঠে একই লোকজন সকাল থেকে জটলা বেঁধে আছেনছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরের সেনপাড়া পর্বতা এলাকার আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে প্রায় ২০০ লোকের জটলা। সবাই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল আহমদ মজুমদারের হয়ে কাজ করছিলেন। কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। একটু পরেই আবার তাঁরা মাঠে এসে ভিড় করেন।

আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেল। এভাবে সকাল ৮টা থেকে এসব লোকজন ভিড় করছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়। সারা দেশের মতো এই কেন্দ্রেও সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়েছে। এই আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি কেন্দ্রে মোট নারী ভোটার ২ হাজর ৪০৬ জন। দুপুর ১২টা নাগাদ ভোট পড়েছে প্রায় ২০০। এখানেই অন্য একটি কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৯২৪ জন।

এখানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানালেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক।

ওই স্কুল ভোটকেন্দ্রের মাঠে একটি প্রতীকের একই সমর্থকদের বারবার এসে জটলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই ভালো জানেন।

আরও পড়ুনঃ

দুই মেয়েকে নিয়ে ভোট দিলেন অভিনেতা ফেরদৌস

ধানমন্ডির ঢাকা মহিলা কলেজ কেন্দ্রে ৪ ঘণ্টায় ৪% ভোট পড়েছে

আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে, এবারও সেটাই করা হচ্ছে: জি এম কাদের

এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসারদের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের পরিদর্শক মনির হোসেন। একই লোকজন বারবার মাঠে জটলা করছেন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাঠ থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আশপাশে যাওয়ার তেমন জায়গা নেই। তাই সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁরা আবার ফিরে আসছেন। তবে এতে কোনো বিশৃঙ্খলা বা ভোটারদের ভোটদানে অসুবিধা হচ্ছে না।

আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের এই কেন্দ্রে প্রতিটি বুথেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট থাকলেও একটিমাত্র বুথে লাঙ্গল প্রতীকের পোলিং এজেন্ট আছেন। আর অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের দেখা যায়নি।

মিরপুর ২ নম্বারে অবস্থিত মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ভোটারবিহীন কেন্দ্র
ছবি: প্রথম আলো

এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় মিরপুর-২-এর মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিত নেই বললেই চলে। এখানে পুরুষদের একটি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৩০৬ জন ভোটার। ভোট পড়েছে ২৩টি।

এ ছাড়া বেলা পৌনে ১১টার দিকে পূর্ব শেওড়াপাড়ার হাজী আশ্রাফ আলী হাইস্কুল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, একটি পুরুষ কেন্দ্রে ভোটার ১ হাজার ৮৮৮ জন, ভোট পড়েছে ৪২টি। একটি নারী কেন্দ্রে ভোটার ১ হাজার ৮৬০ জন, ভোট পড়েছে ৪০টি।
এই নারী ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এম রকিব আহসান বললেন, তাঁরা আশা করছেন দুপুরের পর ভোটার বাড়বে।