বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যায় যা বললেন কোচ সিমন্স

যেভাবে আউট হয়েছেন তানজিমএএফপি

জয়ের জন্য লক্ষ্য ১৩৬। দুবাইয়ে পাকিস্তানের বোলিংয়ের বিপক্ষে ১৩৬ করা কোনোভাবেই অগ্নিপরীক্ষা হওয়ার কথা না। ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসদের কথা বাদই দিন, পাকিস্তানের এই বোলিং লাইন আপে একজন উমর গুল কিংবা সাঈদ আজমলও ছিল না। শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নেওয়াজদের বিপক্ষে যদি ব্যাটিংয়ে এই দশা হয়, তাহলে এর ব্যাখ্যা কী? বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের মুখেই শুনুন সেই ব্যাখ্যা।

এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে গতকাল পাকিস্তানের কাছে ১১ রানে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। সব দলকেই কোনো না কোনো সময় এমন দিনের মুখোমুখি হতে হয়। আজ (গতকাল) আমাদের তেমন দিন গেল; আমাদের সিদ্ধান্ত আর শট নির্বাচন ভালো হয়নি।’

কাল ৪ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যার গড় ১১, আর স্ট্রাইকরেট ১০০। এমন একজনের কি আসলেই ৪ নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটিং পজিশনে ব্যাটিং করার সামর্থ্য আছে?

বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান
এএফপি

এই প্রশ্নে সিমন্স বলেন, ‘আপনি এটাকে ৪ নম্বর হিসেবে দেখছেন। আমি দেখেছি, এমন একজনকে পাঠানো হচ্ছে, যিনি তখন পেসারদের সামলাতে পারতেন। তখনো পাওয়ারপ্লে চলছিল, তাই সে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে বেশি খেলতে পারত। যদি তাকে নিচে পাঠাতাম, তাহলে শুধু স্পিনারদেরই মুখোমুখি হতো। আমার কাছে তখনো জাকের আর শামীম ছিল, যারা স্পিনারদের আরও ভালো খেলে। এই ছিল পেছনের চিন্তাভাবনা।’

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল এলোমেলো আর বেখাপ্পা। পুরো ইনিংস জুড়েই মনে হচ্ছিল, যেন ব্যাটসম্যানদের মাথায় বসানো হয়েছে এক অদৃশ্য ঘড়ি—ম্যাচটা শেষ করতে হবে ১৫ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে। সত্যিই এমন কোনো নির্দেশনা ছিল কি না—সেই প্রশ্নটা উঠতেই পারে। তবে সিমন্স তা একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘না, আমাদের কোনো নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যে তাড়া করার দরকার ছিল না। আমাদের শুধু ম্যাচ জিততে হতো।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ ফিল সিমন্স
এএফপি

চোটের কারণে ভারত ম্যাচের পর কালও খেলতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। মিডল অর্ডারে যারা খেলেছেন সেই নুরুল হাসান, জাকের আলীদের সামর্থ্যই বা কতটুকু? সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছিল, দলে একজন নিখাদ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের ঘাটতি আছে কি না।

সিমন্স বলেছেন, ‘দুই ম্যাচ আগেই বাংলাদেশ একই ব্যাটিং অর্ডার দিয়ে ১৬০ রান তাড়া করেছে। দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ককে হারানো আমাদের জন্য বড় ইস্যু ছিল। তবুও আমরা একই উইকেটে ১৬০ রান তাড়া করেছি। তখন ব্যাটসম্যানরা আজকের (গতকাল) তুলনায় ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আপনি ভালো খেললেন কি না, তা ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করে না। আজকে ব্যাটসম্যানদের সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে।’

আরও পড়ুন