কেন শুধু হাফিজই কাঠগড়ায়, ইনজামামের প্রশ্ন

ইনজামাম উল হকএএফপি

ইনজামাম-উল-হকের প্রশ্নটা খুব সরল—মোহাম্মদ হাফিজকে টিম ডিরেক্টর এবং ওয়াহাব রিয়াজকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে একই সময়ে নিয়োগ দিয়েছিল পিসিবি। তাহলে শুধু হাফিজকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো কেন?

পাকিস্তানের স্থানীয় টিভি চ্যানেলে এই প্রশ্নই তুলেছেন ইনজামাম। গত বছর অক্টোবর-নভেম্বরে বিশ্বকাপ চলাকালীন স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব ছাড়েন ইনজামাম। তাঁর জায়গায় গত বছরেরই ১৭ নভেম্বর সাবেক পেসার ওয়াহাব রিয়াজকে বসায় পিসিবি।

সে মাসেই পাকিস্তান জাতীয় দলের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক অধিনায়ক হাফিজকে। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ সামনে রেখে হাফিজকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

অস্ট্রেলিয়া সফরে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হারে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৫ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হাফিজকে ধন্যবাদ জানিয়ে টিম ডিরেক্টর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় পিসিবি।

স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে ইনজামাম বলেছেন, ‘কেউ কি আমাকে বলতে পারেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সফরের পর টিম ডিরেক্টর পদ থেকে মোহাম্মদ হাফিজকে সরিয়ে দিয়ে প্রধান নির্বাচক পদে ওয়াহাব রিয়াজকে ধরে রাখার কী কারণ? তাদের তো একই সময়ে নিয়োগ দিয়ে একই দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাহলে ওয়াহাব রিয়াজ নয়, শুধু হাফিজকে কেন এর মূল্য দিতে হলো?’

মোহাম্মদ হাফিজ
এএফপি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ইনজামাম পিসিবির সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ার সমালোচনায় আরও একটি বিষয় টেনেছেন—সাবেক অধিনায়ক এবং তারকাদের আরেকটু বেশি সম্মান দিতে হবে। ৫৪ বছর বয়সী ইনজামামের ভাষায়, ‘কোনো সন্দেহ নেই পিসিবি চেয়ারম্যানের পদটা অনেক সম্মানের। কিন্তু বোর্ডের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সাবেক অধিনায়ক এবং তারকারাও একই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।’

আরও পড়ুন

ইনজামাম এ নিয়ে একটি উদাহরণ টানেন, ‘প্রধান নির্বাচক হিসেবে আমার বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ ওঠার পর পিসিবি অফিসে এক নির্ধারিত বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়েছিল। চেয়ারম্যানের আসার অপেক্ষায় আমি বসে ছিলাম পিসিবির দুই অফিশিয়াল সালমান নাসের ও আলিয়া রশিদের সঙ্গে। কিন্তু তিনি একাডেমিতে চলে গিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে নাসের ও আলিয়াকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। তিনি তখন দেখা করতে পারবেন না বলে আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।’

পাকিস্তান ক্রিকেট যেভাবে চলছে, তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন ইনজামাম, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট এভাবে চলতে পারে না। বোর্ড অফিশিয়ালদের নিজের কাজকর্মের দায়দায়িত্ব নিতে হবে।’

আরও পড়ুন