যেভাবে মেয়েদের ক্রিকেটে গ্রুপিং বন্ধ করেছিলেন তিলকরত্নে
বাংলাদেশ নারী দলের কোচ হিসেবে আড়াই বছরের যাত্রার ইতি টেনেছেন হাশান তিলকরত্নে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরই ছিল শ্রীলঙ্কান এই কোচের শেষ অ্যাসাইনমেন্ট। ২০২২ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের পর নিগার সুলতানাদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
ক্যারিবিয়ান সফর শেষ করে গতকাল সকালে দলের সঙ্গে ঢাকায় ফিরেছেন হাশান তিলকরত্নে। ৮ ফেব্রুয়ারি উড়াল দেবেন শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে। এর আগে আজ প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গত আড়াই বছরের কাজের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন তিলকরত্নে। যার বড় অংশজুড়ে ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটের নানা জটিলতার প্রসঙ্গ।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলে গ্রুপিংয়ের আলোচনা অনেক দিনের। কেউ এ নিয়ে কখনোই সেভাবে মুখ খোলেননি। তবে তিলকরত্নে এ নিয়ে কথা বলেছেন অকপটেই, ‘আমি যখন দায়িত্ব নিই, দলে কয়েকটা গ্রুপ ছিল। আমাকে এটাতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে এবং আমি গ্রুপিং বন্ধ করেছি। কিছু জিনিস বদলেছি। কিন্তু সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভালোর জন্যই। আমি এখন স্বস্তির একটা পরিবেশ তৈরি করেছি। খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বললেই এটা বুঝতে পারবেন। আমি তাদের সমান দৃষ্টিতে দেখেছি, আলাদা করে কাউকে পছন্দ করিনি।’
কীভাবে এটা করলেন জানতে চাইলে তিলকরত্নে বলেন, ‘দলের জন্য এটা খুব খারাপ। আপনাকে পরিস্থিতিটা বুঝতে হবে। কাউকে কষ্ট না দিয়ে সব ঠিক করতে হবে। কোচ হিসেবে আপনার তাদের এমনভাবে ম্যানেজ করতে হবে, যেন কেউ কষ্ট না পায়।’
সিলেটে অনুষ্ঠিত ২০২২ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা নারী দলের কোচ হয়ে এসেছিলেন তিলকরত্নে। ওই টুর্নামেন্টের পরপরই দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ নারী দলের। দলের গ্রুপিং দূর করার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলাতে তিনি পাশে পেয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানাকেও। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘নিগার খুবই ভালো অধিনায়ক। পরিস্থিতি খুব ভালো বোঝে। ও নিজেও চাইছিল এটা (গ্রুপিং) বদলাতে।’
তিলকরত্নের সময়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের বাদ পড়া নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। সালমা খাতুন, জাহানারা আলম, রুমানা আহমেদরা ছিলেন অনিয়মিত। এ নিয়ে তাঁরা কয়েকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি।
তিলকরত্নে বলেন, ‘টেস্ট রেকর্ড অনুযায়ী আমার এখনো শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলার কথা...(হাসি)। কিন্তু বিষয়টা এমন নয়। আপনি অতীতের পারফরম্যান্স দিয়ে খেলতে পারবেন না। সবকিছুই নির্ভর করবে বর্তমানের ওপর, আপনার ফর্ম কেমন, সেটার ওপর। অনেক নতুন ক্রিকেটার দরজায় কড়া নাড়ছিল, আমার তাদের খেলাতে হতো। আমি যখন দেখলাম কেউ ভালো খেলছে, ফিট আছে, পারফর্ম করতে চায়, তাকে নিয়েছি। সবকিছুই নির্ভর করবে আপনার বর্তমান ফর্ম আর ফিটনেসের ওপর।’
** হাশান তিলকরত্নের পুরো সাক্ষাৎকার পড়ুন আগামীকাল প্রথম আলোর প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে।