বিপিএল থেকে ছুটি তানজিদ–তাসকিনের, শেষ পর্যন্ত শীর্ষে থাকতে পারবেন তো

বিপিএলে লিগ পর্বে সবচেয়ে বেশি রান তানজিদ হাসানের (বাঁয়ে), সবচেয়ে বেশি উইকেট তাসকিন আহমেদেরশামসুল হক

ত-এ তানজিদ, ত-এ তাসকিন।

এবারের বিপিএলে রান ও উইকেটে শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ের নাম। শুধু নামের আদ্যাক্ষরেই নয়, তানজিদ হাসান ও তাসকিন আহমেদকে মিলিয়ে দিয়েছে আরেকটি তথ্যও। লিগ পর্ব খেলেই যে ছুটি পেয়ে গেছেন দুজন। তানজিদের ঢাকা ক্যাপিটালস ও তাসকিনের দুর্বার রাজশাহী বিদায় নিয়েছে প্লে-অফ পর্বের আগেই।

এলিমিনেটর, দুই কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল—বিপিএলে ম্যাচ বাকি চারটি। ওই চার ম্যাচ শেষেও তানজিদ ও তাসকিন শীর্ষে থাকতে পারবেন কি না, প্রশ্ন সেটিই। ২৫ উইকেটে নিয়ে এক বিপিএলে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড গড়া তাসকিন অবশ্য একটু স্বস্তিতে থাকতে পারেন। উইকেটসংখ্যায় তাঁর সবচেয়ে কাছে থাকা ফাহিম আশরাফ ফিরে গেছেন দেশে। পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে সুযোগ পেয়েছেন বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে ২০ উইকেট নেওয়া এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।

১৯ উইকেট নিয়ে এরপরই আছেন আরেক পাকিস্তানি পেসার আকিফ জাভেদ। রংপুর রাইডার্স প্লে-অফ পর্ব পেরিয়ে ফাইনালে উঠতে পারলে আরও তিনটি ম্যাচ হাতে পাবেন আকিফ। সর্বোচ্চ তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে চারে থাকা চিটাগং কিংসের পেসার খালেদ আহমেদের (১৯)। খালেদরা প্রথম কোয়ালিফায়ারে বরিশালকে হারালে অবশ্য সরাসরি ফাইনালে উঠে যাবে, তখন দলটি খেলবে দুটি ম্যাচ।

শীর্ষ পাঁচ বোলার

এবারের বিপিএলে পেসাররা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, বোলারদের শীর্ষ দশে চোখ বোলালেই পরিষ্কার। শীর্ষ দশে মাত্র দুজনই স্পিনার। রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি স্পিনিং অলরাউন্ডার ১৭ উইকেট নিয়ে আছেন পাঁচে। শীর্ষ দশের আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলাম। চিটাগং কিংসের বোলার ১১ ম্যাচে ১৪ উইকেট পেয়ে আছেন ৮ নম্বরে। শীর্ষ দশে থাকা অন্যরা আবু হায়দার (১৭), তানজিম হাসান (১৬), মোস্তাফিজুর রহমান (১৩) ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (১২)।

আরও পড়ুন

ব্যাটিংয়ে তানজিমকে হুমকি দিচ্ছেন মোহাম্মদ নাঈম। তানজিদকে টপকে যেতে ৪২ রান দরকার খুলনা টাইগার্স ওপেনারের। এলিমিনেটর খেলা খুলনা ফাইনালে উঠলে তিনটি ম্যাচ পাবেন নাঈম।

শীর্ষ পাঁচ ব্যাটসম্যান

রান করায় তৃতীয় ও চতুর্থ এনামুল হক (৩৯২) ও জাকির হাসানের (৩৮৯) দুর্বার রাজশাহী ও সিলেট সিক্সার্স বিদায় নিয়েছে। শীর্ষ পাঁচের একমাত্র বিদেশি অস্ট্রেলিয়ার গ্রাহাম ক্লার্কের (৩৭৭) চিটাগং কিংস অবশ্য টিকে আছে।

ব্যাটিংয়ে শীর্ষ দশের বাকি পাঁচের চারজনই বাংলাদেশের। লিটন দাস (৩৬৮), মেহেদী হাসান মিরাজ (৩৫৩), ইয়াসির আলী (৩৩৬) ও তামিম ইকবাল (৩৩০) আছেন ছয় থেকে নয়ে। দশে রংপুর রাইডার্সের পাকিস্তানি খেলোয়াড় ইফতিখার আহমেদ।

আরও পড়ুন

তানজিদের রানই শুধু নয়, খুলনার নাঈম ছক্কাতেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন ঢাকার ওপেনারকে। এক বিপিএলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড গড়েই বিদায় নিয়েছেন তানজিদ (৩৬)। নাঈম এ পর্যন্ত ছক্কা মেরেছেন ২৬টি।

প্রথম পর্বে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন ঢাকার সাব্বির রহমান ও লিটন দাস। সাব্বির চিটাগংয়ের বিপক্ষে ও লিটন রাজশাহীর বিপক্ষে। দুটি ম্যাচই হয়েছে সিলেটে।
১২৫*
সর্বোচ্চ ইনিংস লিটন দাসের। সিলেটে ঢাকার হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে।
৭/১৯
সেরা বোলিং তাসকিন আহমেদের। মিরপুরে রাজশাহীর হয়ে ঢাকার বিপক্ষে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে যা তৃতীয় সেরা বোলিং।
আরও পড়ুন