কোহলি–রুটদের পর ‘ফ্যাব ফোর’ কারা
বিরাট কোহলি টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছেড়েছেন। স্টিভ স্মিথ ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন। কেইন উইলিয়ামসন কোনো সংস্করণই ছাড়েননি, তবে খেলছেন বেছে বেছে। জো রুট ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলের বিবেচনায় নেই। ওয়ানডে বেছে বেছে খেলেন। টেস্টে রুট খেলেন নিয়মিত। ‘ফ্যাব ফোর’খ্যাত এই চার ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সীও রুট—তা–ও ৩৪ বছর। বোঝাই যাচ্ছে, ক্যারিয়ারের শেষ অংশে পা রেখেছেন এই ক্রিকেটাররা।
এক প্রজন্মের প্রস্থান মানেই নতুন প্রজন্মের উত্থান। এখনকার তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে কারা হতে পারেন ফ্যাব ফোর? কারা বছরের পর বছর ধরে সব সংস্করণে দাপট দেখাবেন? ইংল্যান্ডের দুই ক্রিকেটার মঈন আলী ও আদিল রশিদ ফ্যাব ফোর কারা হতে পারেন, সেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
তিন ক্রিকেটারের ব্যাপারে একমত হলেও ফ্যাব ফোরে ৪ নম্বর ক্রিকেটার কে হবেন, তা নিয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তে আছে ভিন্নতা।
মঈন ও রশিদ দুজনেই এই তালিকায় রেখেছেন ইংল্যান্ডের নতুন তারকা হ্যারি ব্রুককে। ভারতের দুই ক্রিকেটার শুবমান গিল ও যশস্বী জয়সোয়ালও আছেন সে তালিকায়। ফ্যাব ফোরে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে মঈনের পছন্দ রাচিন রবীন্দ্র আর রশিদের জ্যাকব বেথেল।
‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে ব্রুককে নিয়ে মঈন বলেছেন, ‘আমি যেটা ওর ব্যাটিংয়ে পছন্দ করি, সেটা হলো ও পাল্টা আক্রমণ করতে পছন্দ করে। চাপে পড়লে দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করে। দ্রুত ম্যাচের ছন্দ ঘুরিয়ে দেয়। এটা করা সহজ নয়।’
গিলের প্রসঙ্গে আসতেই মঈন বলেছেন এভাবে, ‘পরের নামটা শুবমান গিল, সে যেভাবে ব্যাটিং করে...ব্যাটিং দেখতে খুব সহজ লাগে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে ওর টেকনিক আরও উন্নত হয়েছে। দারুণ মানুষ ও অসাধারণ খেলোয়াড়—খুব সুন্দর, অভিজাত ও স্টাইলিশ। কোনো ব্যাটসম্যানকে দেখার সময় কিছু শট বা বিশেষ কিছু বিষয় চোখে পড়ে, যা অন্যরা করতে পারে না। গিল ঠিক সে রকম। এখন যেভাবে গিল ব্যাট করছে, মনে হয় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।’
গিলকে নিয়ে রশিদ যোগ করেন, ‘তিন–চার বছর ধরেই তো সে খেলছে। আমার মনে হয় গিল যথেষ্ট ধারাবাহিক। সাদা বলে আরও বেশি শক্তিশালী। ও শর্ট বল ভিন্নভাবে খেলে, সামনের পায়ে মিডঅনে। মনে হয় যেন আগেই থেকেই জানে বোলার শর্ট বল করবে।’
গিলের জাতীয় দল সতীর্থ যশস্বী জয়সোয়ালকে নিয়ে মঈন বলেছেন, ‘আপনাকে অবশ্যই ভারতের দুজন খেলোয়াড়কে রাখতে হবে। যশস্বী জয়সওয়াল দারুণ ক্রিকেটার, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমি অবশ্যই ওকে রাখব। কঠিন উইকেটে প্রমাণ করেছে নিজেকে, ফ্ল্যাট উইকেটে নয়। অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ করেছে, ইংল্যান্ডেও পারফর্ম করেছে। ওকে বল করা কঠিন। ওর আসলে কোনো দুর্বলতা নেই। স্পিন খুব ভালো সামলায়। ও অনেক রান করবে।’
ফ্যাব ফোরের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে মঈন বেছে নেন রাচিন রবীন্দ্রকে, ‘আমার পছন্দের চতুর্থ ক্রিকেটার রাচিন রবীন্দ্র। দারুণ খেলোয়াড়। আমাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি পেয়েছিল।’
বেথেলকে নিয়ে রশিদ বলেন, ‘আপনি যদি আগামী ৫-৬ বছরের কথা বলেন, তবে আমি বেথেলকেই নেব।’
মঈন বেথেলের প্রতিভা নিয়ে কোনো সন্দেহ পোষণ করেননি। তবে বেথেলের চোটের প্রসঙ্গে টেনেছেন মঈন, ‘একটা বিষয় অদ্ভুত। পেশাদার ক্রিকেটে বেথেলের কোনো সেঞ্চুরি নেই। আর ও বাবরবার চোটে পড়ে, কিন্তু ও অনেক প্রতিভাবান।’
মঈন–রশিদের এ আলোচনায় শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস, পাকিস্তানের সৌদ শাকিলরাও উঠে এসেছিলেন।