ভারতের চাপে নতি স্বীকার না করায় সোনার পদক পাচ্ছেন নাকভি
পাকিস্তানের তো বটেই, এশিয়ার ক্রিকেটেই এ সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নাম মহসিন নাকভি। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধান—অনেকগুলো বড় পদই এখন নাকভির। সেই নাকভি এবার সাহসিকতা ও বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের নাম উজ্জ্বল করার জন্য সোনার পদক পেতে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের একটি সংস্থা তাঁকে শহীদ জুলফিকার আলী ভুট্টো এক্সিলেন্স গোল্ড মেডেল দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
নাকভি সোনার পদকটি পাচ্ছেন এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে তাঁর আলোচিত–সমালোচিত ভূমিকার জন্য। পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ভারতীয়রা তাঁর হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন হয়েও ট্রফি ছাড়াই দেশে ফিরতে হয়েছে সূর্যকুমার যাদবের দলকে। ‘আমার হাত থেকে না নিলে ট্রফিই দেব না’—এমন মনোভাব থেকেই ভারতকে না দিয়ে ট্রফি নিয়ে হোটেলে ফেরেন নাকভি।
ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। নাকভি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, ‘ভারত যদি সত্যি সত্যিই ট্রফি নিতে চায়, তবে এসিসির সদর দপ্তরে এসে নিতে পারে। তাদের স্বাগতই জানানো হবে।’
ভারতীয় শিবির থেকে থেকে নাকভিকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও ওঠে। সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে নাকভি বলেন, ‘আমি ভুল কিছু করিনি, তাই বিসিসিআইয়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
পাকিস্তানের দ্য নেশন পত্রিকা জানিয়েছে, নাকভির সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়েই সিন্ধ ও করাচি বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট গুলাম আব্বাস জামাল সোনার পদক দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
কবে পদক দেওয়া হবে, সেটি অবশ্য ঠিক হয়নি। পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে অনুরোধ করা হয়েছে পুরস্কারটি নাকভিকে তুলে দেওয়ার জন্য। বিলাওয়াল যখন সময় পাবেন, তখনই করাচিতে আয়োজন করা হবে সেই অনুষ্ঠানের।
সিন্ধ ও করাচি বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশনের ক্রীড়া পরিচালক ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন নাকভিকে পদক দেওয়া হচ্ছে, ‘ব্যাপারটা আর ক্রিকেটে সীমাবদ্ধ নেই। এটা আত্মমর্যাদা, সার্বভৌমত্ব ও চাপের মুখে নতি স্বীকার না করার পুরস্কার।’