জাতীয় ক্রিকেট লিগ
তিন দিনেই জিতল ময়মনসিংহ ও রংপুর, ৬ উইকেট আশরাফুল ও গালিবের
জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথম জয় পেয়েছে ময়মনসিংহ। তিন দিনের মধ্যে জিতে গেছে রংপুরও। ৬ উইকেট করে পেয়েছেন ময়মনসিংহের পেসার আসাদউল্লাহ গালিব এবং চট্টগ্রামের আশরাফুল হাসান।
ময়মনসিংহের প্রথম জয়, গালিব ও আশরাফুলের ৬ উইকেট
জাতীয় ক্রিকেট লিগে এবারই অভিষেক ময়মনসিংহ বিভাগের। নবাগত দলটি চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে। চট্টগ্রামে আজ তিন দিনের মধ্যে স্বাগতিক চট্টগ্রামকে ২৫১ রানে হারিয়েছে ময়মনসিংহ। ৩১১ রানের লক্ষ্য পাওয়া চট্টগ্রাম আজ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ৫৯ রানে। জাতীয় লিগে চট্টগ্রামের এটিই দলীয় সর্বনিম্ন।
ময়মনসিংহের পেসার আসাদউল্লাহ গালিব ২১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। ১৩ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গালিবের এটিই সেরা বোলিং। দলটির অধিনায়ক শুভাগত হোম নিয়েছেন ৩ উইকেট। আজ ৬ উইকেট পেয়েছেন চট্টগ্রামের আশরাফুল হাসানও। ময়মনসিংহের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আট ম্যাচের ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ইনিংসে ৬ উইকেট পেলেন ২০ বছর বয়সী আশরাফুল। ২ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা ময়মনসিংহ অলআউট হয় ২৩২ রানে।
রংপুরের প্রথম জয়, মুকিদুলের ৫ উইকেট
বগুড়ায় তিন দিনের মধ্যে জিতেছে রংপুরও। বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়ে এবারের লিগে প্রথম জয় পেয়েছে দলটি। ৭ উইকেটে ৯০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১৪১ রানে। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন রংপুরের পেসার মুকিদুল।
১৩৬ রানের লক্ষ্য ৩০.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় রংপুর। ওপেনার মিম মোসাদ্দেক ৯৩ বলে ১২ চারে করেছেন ৮০ রান। প্রথম শ্রেণিতে মিমের এটিই সর্বোচ্চ ইনিংস।
তানজিদ অপরাজিত ৮৪, তাইবুর অপরাজিত ৯৬
রাজশাহীতে দারুণ ব্যাট করছেন তানজিদ হাসান। ঢাকার বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে ৮৪ রানে অপরাজিত আছেন তানজিদ। ৮৪ বলেই ৫ চার ও ৪ ছক্কায় এই রান করেছেন জাতীয় দলের ওপেনার। তাঁর দল দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ১৫১ রান করে ৬৭ রানে এগিয়ে গেছে।
এর আগে ৪ উইকেটে ২৫২ রান নিয়ে দিন শুরু করা ঢাকার প্রথম ইনিংস থামে ৩৮২ রানে। আগের দিনই সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়া আশিকুর রহমান ফিরেছেন ১২১ রানে। দলটির মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমান ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি। তাঁকে ৯৬ রানে রেখে আউট হয়ে যান ঢাকার শেষ ব্যাটসম্যান সালাউদ্দিন শাকিল।
লিড নিয়েছে সিলেট
সিলেটে এক দিন দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে খুলনার চেয়ে ৪৮ রানে এগিয়ে গেছে সিলেট। গতকাল খুলনাকে ২৫৯ রানে অলআউট করা দলটি দিন শেষ করেছে ৭ উইকেটে ৩০৭ রান তুলে।
জাকির হাসান ও মুবিন আহমেদের উদ্বোধনী জুটিই এনে দেন ১৪১ রান। ৭১ রান করেছেন মুবিন, অধিনায়ক জাকির করেছেন ৭৮ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি।