২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারত–শ্রীলঙ্কার ৮ ভেন্যুতে
ছেলেদের ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর জন্য আহমেদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই ও মুম্বাইকে ভেন্যু হিসেবে চূড়ান্ত করেছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কায় খেলা হবে তিনটি ভেন্যুতে। এর মধ্যে দুটি কলম্বো ও পাল্লেকেল্লে।
আগামী বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ৮ মার্চ আহমেদাবাদের ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে এই টুর্নামেন্ট। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি প্রকাশ করতে পারে আইসিসি। ক্রিকেটবিষয়ক পোর্টাল ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী বেশির ভাগ দল আইসিসির কাছ থেকে বিশ্বকাপের গ্রুপিং ও সূচি হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় আছে। ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এই টুর্নামেন্টের টিকিট বণ্টন নিয়েও এখনো কিছু জানায়নি।
পূর্বের সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তান তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কায়। এই চুক্তি হয়েছে বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যে—যাতে দুই দেশ একে অপরের আয়োজিত বহুজাতিক টুর্নামেন্টে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলে। পাকিস্তান যদি আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে, তাহলে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শ্রীলঙ্কায়।
২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফরম্যাট ২০২৪ সালের সংস্করণের মতোই হবে। ২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হবে, প্রতিটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল। প্রতিটি দল একবার করে অন্য দলের সঙ্গে খেলবে।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল উঠবে সুপার এইটে। সেখানে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হবে চারটি করে দল। সুপার এইটে দুটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিফাইনালে।
আয়োজক দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বাইরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শীর্ষ সাত দল—আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে আগামী বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা তিনটি দল—নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ড।
আমেরিকাস অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে কানাডা। ইউরোপিয়ান বাছাইপর্ব থেকে এই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট কেটেছে নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। এবারই প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেবে ইতালি।
আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই থেকে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়া। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বাছাই পেরিয়ে নেপাল, ওমান ও আরব আমিরাত আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার টিকিট কেটেছে।