ব্যাটে ছিল না রান, এবার আইপিএলেই থাকছেন না ম্যাক্সওয়েল
বড় ধাক্কা লাগল পাঞ্জাব কিংসের আইপিএল–স্বপ্নে। লকি ফার্গুসনের পর দলটি হারিয়ে ফেলল আরেক বিদেশি খেলোয়াড় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকেও। ডান হাতের আঙুলের চোট এবারের আইপিএল থেকে ছিটকে ফেলেছে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডারকে। আজ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিশ্চিত করেছে এ খবর।
পাঞ্জাব কিংস আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ম্যাক্সওয়েলের ছিটকে পড়া নিয়ে লিখেছে, ‘আঙুলের চোটের কারণে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। আমরা তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’
২৬ এপ্রিল বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া পাঞ্জাব-কলকাতা ম্যাচের আগে চোটে পড়েন মাক্সওয়েল। চোট নিয়েই ব্যাট করে সেই ম্যাচে ৭ রানে আউট হয়েছিলেন বাজে একটা মৌসুম কাটানো বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান। এ মৌসুমে সাত ম্যাচে ছয়বার ব্যাট করে মাত্র ৪৮ রান করেছেন ম্যাক্সওয়েল। ৪৮ রানের ৩০-ই আবার এক ম্যাচে করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী তারকা। আর বল হাতে ম্যাক্সওয়েল নিয়েছেন ৪ উইকেট।
গতকাল চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েলের জায়গায় খেলেন সূর্যাংশ শেজ। ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে কখনোই আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন না হওয়া পাঞ্জাব। দলটির এই জয়ে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের।
ম্যাক্সওয়েল যে ছিটকে পড়তে পারেন, সেটির ইঙ্গিত কাল চেন্নাই ম্যাচের আগেই দিয়েছিলেন পাঞ্জাবের আরেক অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস। জিওস্টারকে পেস-বোলিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যাক্সির আঙুল ভেঙে গেছে। আগের ম্যাচের ঠিক আগে অনুশীলনে হয়েছে দুর্ঘটনাটা। প্রথমে সে ভাবতে পারেনি এতটা খারাপ অবস্থা হবে। স্ক্যান করানো হয়েছে, সেটির রিপোর্ট ভালো আসেনি। আমার মনে হয় ম্যাক্সির টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেছে।’
পাঞ্জাবের হেড কোচ রিকি পন্টিং বলেছেন, তাঁরা ম্যাক্সওয়েলের বিকল্প খুঁজছেন, ‘আমরা হয়তো সামনে কিছু নতুন খেলোয়াড়কে চুক্তিবদ্ধ করতে পারি। ১২তম ম্যাচের আগে অবশ্য কিছু হবে না। যার অর্থ আরও দুটি ম্যাচ হাতে আছে। এ দুই ম্যাচে আপাতত দলে যারা আছে, তাদের নিয়েই চালাব। আজমতউল্লা ওমরজাই, অ্যারন হার্ডি ও জেভিয়ার বার্টলেটরা তো আছে।’
পাঞ্জাব অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারও কাল বলেছেন ম্যাক্সওয়েলের বিকল্প নিয়ে এখনো ভাবেননি তাঁরা। পাঞ্জাব এখন পর্যন্ত কিউই পেসার ফার্গুসনের বদলি হিসেবেও কাউকে নেয়নি। ফার্গুসন ছিটকে পড়েন এপ্রিলের শুরুর দিকে।