লো স্কোরিং থ্রিলার জিতে সিপিএলে প্রথমবারের মতো প্লে অফে সাকিবের অ্যান্টিগা
বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৮ রানে নেন ১ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ২ বলে করেন ১ রান। গায়ানা অ্যামাজনের বিপক্ষে আজ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) সাকিব আল হাসানের পারফরম্যান্স।
ব্যাটিং ভালো হয়নি, তবে টি-টোয়েন্টি বিবেচনায় বোলিংটা ভালোই। কিন্তু ম্যাচ বিবেচনায় আবার খুব একটা ভালোও বলা যাবে না। কারণ, গায়ানা ও অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনসের এই ম্যাচে দুই দল মিলেই রান তুলেছে ২০২।
প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯৯ রানের অলআউট হয় গায়ানা। ১৯.১ ওভারে সেই রান তাড়া করে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে সাকিবের অ্যান্টিগা। লো স্কোরিং থ্রিলার জিতে সিপিএলে প্রথমবারের মতো প্লে–অফে উঠেছে অ্যান্টিগা। এর আগে প্লে–অফ নিশ্চিত করেছে সেন্ট লুসিয়া ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
১০০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ৪ ওভারেই চার উইকেট হারায় অ্যান্টিগা। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাকিব যখন মঈন আলীর বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন, তখন অ্যান্টিগার রান ৪.১ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪। ইনিংসের একপর্যায়ে ৬৫ রানে ৬ উইকেট হারায় দলটি। তবে ওপেনার আমির জাঙ্গু ছিলেন।
৫৭ বলে তাঁর ৫১ রানের ওয়ানডে ইনিংসেই মূলত জয় পায় অ্যান্টিগা। সপ্তম উইকেটে ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে নিয়ে ৩৫ বলে ৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান আমির।
গায়ানাকে ৯৯ রানের গুটিয়ে দেওয়ার মূল নায়ক ফ্যালকনসের পেসার জেইডেন সিলস। ৩.১ ওভারে ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও সিলস। পাকিস্তানি লেগ স্পিনার উসামা মির ১৭ রানে নেন ৩ উইকেট। সাকিব গুড়াকেশ মোতির উইকেটটি নেন।
টুর্নামেন্টে এটি সাকিবের দলের পঞ্চম জয়। ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় ফ্যালকনস।
পয়েন্ট তালিকার শেষ তিন দল গায়ানা, সেন্ট কিটস ও বার্বাডোজ। প্রতিটি দলেরই চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা আছে। তবে গায়ানা যদি পরের ম্যাচে শনিবার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল সেন্ট লুসিয়ার বিপক্ষে জিতে যায়, তাহলে তারা প্লে অফে চলে যাবে। বাদ পড়বে সেন্ট কিটস ও বার্বাডোজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
গায়ানা: ১৮.১ ওভারে ৯৯ ( হোপ ২৬, স্যামসন ১৯; সিলস ৪/১৫, মির ৩/১৭)
অ্যান্টিগা: ১৯.১ ওভারে ১০৩/৬ ( আমির ৫১*, ইমাদ ১৬; তাহির ২/২৭, মঈন ২/১০)
ফল: অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জেইডেন সিলস।