সৌরভ, হরভজন নাকি মোরে—ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন প্রধান কে হবেন
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন ২৮ সেপ্টেম্বর। তবে বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি কে হচ্ছেন, সেটা জানতে বোধ হয় তত দিন অপেক্ষা করতে হবে না।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি—আগামীকাল (২০ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে বিসিসিআইয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্তাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের প্রতিনিধিদলের একটি বৈঠক হওয়ার কথা। আর সেই বৈঠকেই কে সভাপতি হবেন, তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
তারপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই বাকি থাকবে। নির্বাচনের দিন সেই সভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাতে নির্বাচিত হন, সেটা নিশ্চিত করা হবে। আগামীকালের বৈঠকটি আনুষ্ঠানিক কিছু নয়।
তবে ভারতের টেলিগ্রাফসহ অন্য সংবাদমাধ্যমগুলো লিখেছে, বৈঠকেই সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকটি হবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে। ২০২২ সালেও এমন এক বৈঠকেই সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসন কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছিলেন তখনকার বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলীর।
সেই বৈঠকেই আসলে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, আর মেয়াদ বাড়ছে না সৌরভের। পরে বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি পদে চূড়ান্ত হয় ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার রজার বিনির নাম। গত মাসে বয়স ৭০ পূর্ণ হওয়ায় মেয়াদ শেষের আগে তাঁকে দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে।
সৌরভের নামটা নতুন সভাপতি হিসেবে আবার আলোচনায় এসেছে। তবে এই বৈঠকে তিনি আমন্ত্রিত কি না, এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি কোনো ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
পাশাপাশি সম্ভাব্য সভাপতি প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে সৌরভের সাবেক সতীর্থ হরভজন সিংয়ের নামও। এ ছাড়া কর্ণাটকের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার রঘুরাম ভাট এবং সাবেক উইকেটকিপার কিরণ মোরের নামও আলোচনায় আছে।
মোরের নাম আলোচনায় থাকার ব্যাপারটা অবশ্য এ মুহূর্তে অনেকের কাছে একেবারে ভিত্তিহীন মনে হতে পারে, কারণ তাঁর নাম নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া রাজ্য সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের তালিকায় নেই। তবে রাজ্য সংস্থাগুলো চাইলে তাদের প্রতিনিধি তালিকা পরিবর্তন করতে পারবে আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, দিল্লি সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে মোরের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। আর সরকারের সবুজ সংকেত পেলে হয়তো কোনো এক রাজ্য থেকে তাঁর নামটাই প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তাব করা হবে। বাকি সিদ্ধান্ত হবে আমিত শাহর বাড়িতে হতে যাওয়া বৈঠকে।
এখন শুধু দেখার অপেক্ষা, শেষ পর্যন্ত মোরের নাম প্রস্তাবিত হয়, নাকি সৌরভ-হরভজনদের কার ওপর আস্থা রাখা হয় সেই বৈঠকে।