আসলেই কি টেন্ডুলকার—ভক্তের সন্দেহ, টেন্ডুলকার উত্তরে যা বললেন
শচীন টেন্ডুলকার সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। ক্রিকেট পৃথিবীর যে প্রান্তে পৌঁছেছে, তাঁর নামটাও পৌঁছেছে একই সঙ্গে। অথচ টেন্ডুলকার আসলেই টেন্ডুলকার কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তাঁরই এক ভক্ত!
ব্যাপারটা খুলে বলা যাক। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম এবং ফোরাম রেডিটে ‘আস্ক মি অ্যানিথিং’ নামে একটি সেশনের আয়োজন করেছিলেন টেন্ডুলকার। ভক্তদের নানা রকম প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি সেখানে। যে অ্যাকাউন্ট থেকে টেন্ডুলকার এই সেশনের আয়োজন করেছিলেন, তা সত্যিই টেন্ডুলকারের কি না এবং কিংবদন্তি নিজে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন কি না, এসব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন এক ভক্ত, ‘সত্যিই কি শচীন টেন্ডুলকার? নিশ্চিত একটি বার্তা (ভয়েস নোট) পাঠান অনুগ্রহ করে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার ভক্তের এ মন্তব্যের উত্তরে রসিকতা করেন, ‘তাহলে কি আধার কার্ড (ভারতীয় নাগরিকের পরিচয়পত্র) পাঠিয়ে দেব?’
টেন্ডুলকারের মজার এ উত্তর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারতীয় কিংবদন্তি শুধু উত্তরই দেননি। উত্তরসহ একটি ছবিও পোস্ট করেন। সেই ভক্তের প্রশ্নের দিকে হাত ইশারা করে তোলা ছবি নিজের উত্তরের সঙ্গে পোস্ট করেন ৫২ বছর বয়সী টেন্ডুলকার। মজার এ সেশনে আরেক ভক্ত জানতে চান, তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোন দলের বোলিং বেশি ভালো ছিল?
টেন্ডুলকার এর উত্তরেও মজা করেন, ‘কেন? আপনি কি তাদের মুখোমুখি হতে চান?’
মজার এসব উত্তরের পাশাপাশি নিজের ক্যারিয়ার নিয়েও কথা বলেন টেন্ডুলকার। তাঁর পছন্দের ইনিংস নিয়ে জানতে চাইলে বলেছেন ২০০৮ সালে চেন্নাই টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসের কথা।
ভালো বোলারদের বিপক্ষে ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার বিষয়ে বলেছেন, ‘হ্যাঁ, বোলারের ছন্দ নষ্ট করতে অনেকবারই আমি ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলেছি। এখন যেমন মনে পড়ছে, ২০০০ সালে নাইরোবিতে ম্যাকগ্রার বিপক্ষে।’
টেন্ডুলকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ক্রিকেটের কোন নিয়মটি তিনি পাল্টাতে চান? কিংবদন্তির উত্তর, ‘আম্পায়ার্স কল নিয়ে ডিআরএস নিয়মটি আমি পাল্টাতাম। মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হয়েই খেলোয়াড়েরা তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যায়। এরপর আবারও সিদ্ধান্ত দিতে আম্পায়ার্স কলে ফেরার কোনো মানে হয় না। খেলোয়াড়দের যেমন বাজে সময় কাটে, তেমনি আম্পায়াররাও এমন সময়ের ভেতর দিয়ে যান। প্রযুক্তি নিখুঁত না হলে সব সময়ই ভুল করবে।’