ক্লার্কের ঝোড়ো সন্ধ্যায় চিটাগংয়ের টানা চার

সেঞ্চুরির পর ক্লার্কশামসুল হক

মিরপুরের পর সিলেটেও আগে ব্যাট করে দুই শ বা তার বেশি রান করেছে চিটাগং কিংস। আজ তো ঘরের মাঠ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তারা চট্টগ্রাম পর্বের শুরুই করল ২০০ রান করে। খুলনা টাইগার্সকে ১৫৫ রানে আটকে রেখে চট্টগ্রামে চিটাগংয়ের শুরুটাই হলো জয়ের উৎসব দিয়ে।

চট্টগ্রামে আজ এবারের বিপিএলের প্রথম দিনের খেলা দেখতে গ্যালারি ভরে গিয়েছিল কানায় কানায়। তবে খুলনার ব্যাটিংটা শুরুতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে যাওয়াতেই কি না, ঘরের মাঠের দর্শক চিটাগংয়ের জিততে থাকা ম্যাচটা থেকেও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। খেলা শেষ হওয়ার অনেক আগেই গ্যালারি হয়ে গেল ভাঙা হাট।

আরও পড়ুন

৭ উইকেটে করা চিটাগং কিংসের ২০০ রানের ইনিংসে অর্ধেকেরও বেশি (১০১ রান) অবদান অবশ্য তাদের ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম ক্লার্কের। এবারের অখ্যাত বিদেশিদের বিপিএলে একটু ব্যতিক্রমই বলতে হয় ক্লার্ককে।

চিটাগং কিংসের হয়ে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৪০, ৩৯, ৬০ ও ১০১। চার ম্যাচ মিলিয়ে ১৭১.৪২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা ক্লার্ক আজকের ১০১ রানের ইনিংসটা খেলেছেন আবার ২০২ স্ট্রাইক রেটে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে সেঞ্চরি পূর্ণ করে ৫০ বলে করেছেন ১০১ রান।

রান পেয়েছিলেন পারভেজও
শামসুল হক

ক্লার্কের ৬ ছক্কা আর ৭ বাউন্ডারির ইনিংসটা শেষ হয়েছে সালমান ইরশাদের বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ছয় ছক্কার তিনটিই তিনি মেরেছেন ১১তম ওভারে মাহফুজুর রহমানের প্রথম তিন বলে। ২৭ রান দেওয়া ওভারটার শেষ বলে মাহফুজুর আরেকটি ছক্কা খেয়েছেন ওপেনার পারভেজ হোসেনের হাতে।

তৃতীয় ওভারে ওপেনার উসমান খান আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজের সঙ্গে ১২৮ রানের জুটি গড়েন ক্লার্ক। তবে ১৬তম ওভারের শেষ বলে দলকে ১৬৮ রানে রেখে তাঁর আউট হয়ে যাওয়ার পর শেষের ঝড়টা তুলতে পারেননি কিংসের আর কোনো ব্যাটসম্যান। প্রথম ১৬ ওভারে যেখানে তাদের রান এসেছে ওভারপ্রতি ১০.৫ করে, সেখানে শেষ চার ওভারে ওভারপ্রতি রান ৮। খুলনার পাকিস্তানি পেসার সালমান ইরশাদ ও বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

চট্টগ্রামে আজ এবারের বিপিএলের প্রথম দিনের খেলা দেখতে গ্যালারি ভরে গিয়েছিল কানায় কানায়
শামসুল হক

ওভারপ্রতি ১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩.৩ ওভারে ৩০ রান তুললেও ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা রানের প্রবাহ ধরে রাখতে পারলে টি–টোয়েন্টিতে সেটা অবশ্য কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের ৮ বলে ১৯ রানের চেষ্টাটুকু ছাড়া ২০০ রান তাড়া করার তেজি মানসিকতা ছিল না কারও ব্যাটেই।

আরও পড়ুন

ক্লার্কের ঝোড়ো সেঞ্চুরির সৌজন্য ঘরের মাঠে চিটাগং কিংসের ২০০ রান টি–টোয়েন্টির বিনোদন দিলেও খুলনার ২০ ওভার খেলেও ৯ উইকেটে করা ১৫৫ রানের ব্যাটিং ম্যাচটাকে শেষ পর্যন্ত ম্যাড়মেড়েই করেছে।

মিরপুরে প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর টানা হেরে চলেছে মিরাজের খুলনা টাইগার্স। সিলেটে তিন ম্যাচেই হারার পর ষষ্ঠ ম্যাচে এটি তাদের টানা চতুর্থ হার। অন্যদিকে মিরপুরে এই খুলনার কাছেই হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করার পর চিটাগং কিংস এ নিয়ে জিতল টানা চতুর্থ ম্যাচ।

ফরচুন বরিশালের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেই তাদের সমান পয়েন্ট (৮) নিয়ে দুইয়ে আছে চিটাগংও। সাত ম্যাচ খেলে সাতটিতেই জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রংপুর রাইডার্স। চট্টগ্রামে কাল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চিটাগংয়ের মুখোমুখি হবে তারা।