গতি কমছে নাহিদ রানার, বিশ্রাম নিয়ে কী পরিকল্পনা

রংপুর রাইডার্সের ফাস্ট বোলার নাহিদ রানাছবি: শামসুল হক

এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ছয়টি করে ম্যাচ খেলেছে রংপুর রাইডার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস। এর মধ্যে রংপুরের ছয় ম্যাচই বেশি আলোচনায়; কারণ, বাংলাদেশের দ্রুততম বোলার নাহিদ রানা খেলেন এই দলে এবং খেলেছেন প্রথম ছয় ম্যাচেই।

ভয়টা রানা বলেই বেশি। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারা দেশের একমাত্র পেসার। তাঁর গতি একটু কমে গেলে শঙ্কা তো আসবেই। অতি বোলিংয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন না তো তিনি!

বিপিএলে রংপুরের সর্বশেষ দুই ম্যাচে তাঁকে ১৩৫ কিলোমিটারের আশপাশেই বেশি বোলিং করতে দেখে প্রশ্ন উঠছে—নাহিদ রানার বিশ্রাম প্রয়োজন কি না!

তবে রংপুর রাইডার্স কোচ মিকি আর্থার এখনই সে প্রয়োজন দেখছেন না। সিলেটে আজ সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেখব তার কী অবস্থা। খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়া ও খেলানোর মধ্যে একটা ভারসাম্য রাখতে হয়। বেশি বল করানো বা কম বল করানোর মধ্যেও আছে। মাত্র ২৪টা বল করতে হয় ম্যাচে, আমরা দেখব এটা সে কীভাবে করে। তাকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ পেলে আমরা তা দেব।’

এখন পর্যন্ত দুবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন নাহিদ রানা
প্রথম আলো

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি সামনে রেখে বিপিএলে জাতীয় দলের পেসারদের জন্য ওয়ার্কলোড ভাগ করে দেওয়া আছে, যাতে অতিরিক্ত ম্যাচ খেলে বা বোলিং করে কেউ ক্লান্ত হয়ে না পড়েন। কারও চোটের শঙ্কা না জাগে।

এই নীতি অনুযায়ী একজন পেসার সর্বোচ্চ তিনবার পরপর দুই দিন ম্যাচ খেলার চাপ নিতে পারবেন। তবে পরপর দুই দিন ম্যাচ খেললে তার আগে–পরে ওই পেসার অনুশীলনে বোলিং করবেন না।

আরও পড়ুন

রানা পরপর দুই দিন খেলেছেন দুইবার এবং ওই ম্যাচ দুটির আগে রংপুর অনুশীলনে তাঁর বোলিং ভার কমিয়েছে, এমনটাই জানা গেছে জাতীয় দল–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে।

রানাও এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যার কথা বলেননি। তা ছাড়া টি–টোয়েন্টিতে যেহেতু এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪ ওভারই বোলিং করতে হয়, পেসারদের ওপর সেটা চাপ হওয়ার কথা নয়। উল্টো ওয়ানডের কথা মাথায় রেখে অনেক সময় অনুশীলনে বা ম্যাচের আগে–পরে তাঁদের বাড়তি বোলিং করাতে হয় এবং সেটিও ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টেরই অংশ বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

মাত্র ২৪টা বল করতে হয় ম্যাচে, আমরা দেখব এটা সে কীভাবে করে।
নাহিদ রানাকে নিয়ে রংপুর রাইডার্স কোচ মিকি আর্থার

টুর্নামেন্টের প্রথম ১১ দিনে রানা ছয়টি ম্যাচ খেললেও তিনি পরের তিনটি ম্যাচ খেলবেন ১৩, ১৭ ও ২৩ জানুয়ারি। অর্থাৎ মাঝে যথেষ্ট বিরতি থাকবে। ৯ জানুয়ারির পর এই তিন ম্যাচের জন্য তিনি সময় পাচ্ছেন ১৪ দিন, যেটা পেসারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের মধ্যেই পড়ে।

বরং এই নিয়ম অনুযায়ী রানাকে রংপুর চাইলে আরও একবার পরপর দুই দিন ম্যাচ খেলাতে পারবে, যদিও এই টুর্নামেন্টেই রংপুরের আর পরপর দুই দিন খেলা নেই।

আরও পড়ুন