উসমান খাজা অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের দ্বৈত নাগরিক। তাঁর জন্ম পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। ১৯৯০ সালের দিকে তাঁর পরিবার অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। তবে খাজার পরিবার অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট গ্রহণ করলেও পাকিস্তানি পাসপোর্ট বর্জন করেনি। ভারতের ভিসার জন্য যেকোনো বিদেশি নাগরিককেই পাকিস্তান-সংযোগসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর লিখতে হয়। এমনকি কারও দাদা-দাদি, নানা-নানি পাকিস্তানি নাগরিক হলেও সেটি উল্লেখ করতে হয়। উসমান খাজাকে স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। রামচন্দ্র গুহের মতে, ‘উসমান খাজার বিষয়টি মন খারাপ করে দেওয়ার মতোই।’

ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক সব সময়ই বৈরী। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এখন পর্যন্ত এ দুই দেশ চারটি বড় আকারের যুদ্ধে জড়িয়েছে। এরপরও দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটীয় সম্পর্কটা বজায় ছিল। দুই দেশই পরস্পরের মাটিতে টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছে অনেকবারই। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক কখনোই ভালো জায়গায় পৌঁছায়নি। ২০১২ সালের পর থেকে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় কোনো সিরিজে অংশ নেয়নি।

রামচন্দ্র গুহ মনে করেন, ‘ক্রিকেটাররা কোনো দেশের সরকারের অধীনস্থ কেউ নন। তাঁরা কোনো দেশের সরকারকেও প্রতিনিধিত্ব করেন না। তাই পাকিস্তান ক্রিকেট দল যদি ভারতে যায়, সেটি কোনো সমস্যা নয়, ক্রিকেটাররা সন্ত্রাসী নন, পাকিস্তানের উচিত আগামী বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসা।’

উসমান খাজা অবশ্য এবারই প্রথম ভিসাসংক্রান্ত জটিলতার মুখোমুখি হলেন না; এর আগেও দুবার তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ২০২০ সালে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের ভারত সফরের সময় তাঁর পাসপোর্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল। ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের সময়ই একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এ অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।