বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজসেরা ওয়াসিমই মাসসেরা, গড়লেন ইতিহাসও
বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে গত মাসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। আমিরাতিদের গৌরবের সেই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। তিন ম্যাচে দুই ফিফটিতে ১৪৫ রান করা আমিরাত অধিনায়কই হয়েছিলেন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁর ৪২ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ভর করেই ২০৬ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে সমতা এনেছিলেন আমিরাত। দুর্দান্ত সেই পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ বা মাসসেরা হয়েছেন ওয়াসিম।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইসিসির মাসসেরা হলেন ওয়াসিম। তাতে বড় এক কীর্তিও গড়েছেন, সহযোগী সদস্য দলগুলোর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একাধিকবার মাসসেরা হলেন ৩১ বছর বয়সী ওপেনার। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ওয়াসিম প্রথমবার মাসসেরা হয়েছিলেন ২০২৪ সালের এপ্রিলে।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার দেওয়া হয় আইসিসি মাসসেরা পুরস্কার। সে বছরের সেপ্টেম্বরে সহযোগী দেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে মাসসেরা হয়েছিলেন নেপালের সন্দীপ লামিচানে। এরপর দুবার মাসসেরা হলেন ওয়াসিম।
আইসিসির ওয়েবসাইটে মাসসেরা হওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ওয়াসিম বলেন, আমি দ্বিতীয়বারের মতো মাসসেরার পুরস্কার জিতে খুব আনন্দিত। আইসিসিকে ধন্যবাদ, আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য সকল ভক্তদেরও ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার সব সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই—এই পুরস্কার ঠিক যতটা আমার, ততটাই তাদেরও। মে মাসটা আমাদের জন্য স্মরণীয়ই হয়ে থাকবে, শারজায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সিরিজ জিতেছি। এই জয় আমিরাতের ক্রিকেটের অগ্রগতির প্রমাণ।’
মে মাসের মাসসেরর লড়াইয়ে ওয়াসিমের প্রতিদ্বন্দ্বী দুজনও ছিলেন সহযোগী সদস্য দেশের, স্কটল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাকমুলান ও যুক্তরাষ্ট্রের মিলিন্দ কুমার।
মেয়েদের মাসসেরা ক্লোয়ি টাইরন
দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার টাইরন ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ১৩১.৩৪ স্ট্রাইক রেটে ১৭৬ রান করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যাটট্রিকও করেন এই টাইরন।