‘৮ কেজি খাসির মাংস খাওয়া’ বাবরদের ফিল্ডিংকে ‘অর্ডিনারি’ বললেন গম্ভীর
প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতে বেশ ভালোভাবেই বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে টানা হারে এখন শঙ্কায় পড়েছে দেশটির সেমিফাইনাল স্বপ্ন। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হেরেছে তারা। টানা তিন হারে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছেন বাবর আজম–শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা তো বটেই, অন্য দেশের সাবেকরাও পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের কাটাছেঁড়ায় বসেছেন।
সেই ধারাবাহিকতায় ভারতের সাবেক ওপেনার গৌতম গম্ভীরও পাকিস্তানের তিনটি দুশ্চিন্তার কথা বলেছেন। যেখানে সবার আগে পাকিস্তানের বাজে ফিল্ডিংকে চিহ্নিত করেছেন গম্ভীর। বলেছেন, পাকিস্তানের ফিল্ডিং একেবারেই ‘সাধারণ’। এর আগে দলটির ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ওয়াসিম আকরামও।
তিনি বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়দের ফিল্ডিং ও ফিটনেস দেখুন। আমরা ৩ সপ্তাহ ধরে বলছি, এই খেলোয়াড়েরা গত দুই বছরের মধ্যে কোনো ফিটনেস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়নি। এখন আমি নাম ধরে বললে তারা অখুশি হবে। দেখে তো মনে হয়, তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির গোশত খায়।’
আকরামের মতো এতটা কঠোর না হলেও ফিল্ডিংকেই পাকিস্তানের বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন গম্ভীর, ‘পাকিস্তানের ফিল্ডিং নিয়ে আমরা এশিয়া কাপের সময়ও কথা বলেছি। ব্যাট ও বল হাতে আপনার খারাপ দিন যেতে পারে। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে নয়। এশিয়া কাপ থেকেই এটা চলে আসছে এবং এই বিভাগ এখনো উন্নতি করেনি। আমার ধারণা, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের ফিল্ডিং সবচেয়ে সাধারণ।’
এরপর পাকিস্তানের ব্যর্থতার জন্য স্পিনারদের উইকেট না পাওয়াকে দায়ী করেছেন গম্ভীর, ‘তারা স্পিন বোলিংয়ে সংগ্রাম করছে। এই উইকেটে যেখানে কোনো শিশির নেই, এটি স্পিনারদের খুব সাহায্য করছে। অথচ তাদের স্পিনারের কেউই কোনো উইকেট নিতে পারেনি। এটা দলটির দ্বিতীয় দুশ্চিন্তা।’
গম্ভীর এ সময় পাকিস্তানের ব্যাটিংকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন। পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের ধরন সেকেলে দাবি করে গম্ভীর বলেছেন, ‘পাকিস্তানে তৃতীয় দুশ্চিন্তার নাম হচ্ছে ব্যাটিং। তাদের শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের ব্যাটিংয়ের ধরন একই রকম। একমাত্র ইফতেখার ছাড়া তাদের আর কোনো ব্যাটসম্যান নেই যে দ্রুত রান তুলতে পারে। ক্রিকেট বদলে গেছে। ১৯৯০ কিংবা ২০১১ সালে ক্রিকেট যেমন ছিল, এখন তেমন নেই। তখন ২৭০ বা ২৮০ রান করে আপনি ভাবতে পারতেন যে বোলাররা সেটা রক্ষা করতে পারে। কিন্তু দুটি নতুন বল, ফ্ল্যাট উইকেট এবং বৃত্তের ভেতর ৫ ফিল্ডার থাকলে আপনাকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলতে হবে।’