তানজিদকে টপকে যাওয়া নাঈম কি পারবেন রুশোর রেকর্ড ভাঙতে
প্রথম সুযোগেই তানজিদ হাসানকে দুইয়ে নামিয়ে শীর্ষে উঠে গেলেন মোহাম্মদ নাঈম। তানজিদের দল ঢাকা ক্যাপিটালস লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। আগেভাগেই ছুটি পেয়ে যাওয়া ওপেনারকে তাই থেমে যেতে হয়েছে ৪৮৫ রানেই। সেই তানজিদকে টপকে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হতে নাঈমের দরকার ছিল ৪২ রান। খুলনা টাইগার্স ওপেনার কাল এলিমিনেটরে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে করেছেন ৪৮ রান।
তাতে শুধু এবারের বিপিএলে তানজিদকেই টপকে যাননি নাঈম, বিপিএল ইতিহাসে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষ পাঁচেও উঠে এসেছেন। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ১৩ ম্যাচ খেলে এ পর্যন্ত ৪৯২ রান করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অন্তত আরও একটি ম্যাচ খেলতে যাওয়া নাঈমকে হাতছানি দিচ্ছে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রান করার রেকর্ডও।
রেকর্ড ভাঙতে নাঈমের দরকার ৬৭ রান। রেকর্ডটি এখন রাইলি রুশোর। ২০১৮-১৯ মৌসুমে রংপুর রাইডার্সের হয়ে ৫৫৮ রান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান। রুশো ভেঙেছিলেন আহমেদ শেহজাদের রেকর্ড।
২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম মৌসুমে বরিশাল বার্নার্সের হয়ে ৪৮৬ রান করেছিলেন পাকিস্তান ব্যাটসম্যান। রুশো শেহজাদের রেকর্ড কাড়ার পর নাঈমসহ আরও পাঁচজন শেহজাদের রান টপকে গেছেন। তবে রুশো ছাড়া ৫০০ করতে পেরেছেন মাত্র একজনই। ২০২২-২৩ মৌসুমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে ৫১৬ রান করেছিলেন নাজমুল হোসেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রানের সেই রেকর্ড ভাঙতে ২৫ রান দরকার নাঈমের।
২৫ বছর বয়সী নাঈম এবার সেঞ্চুরি করেছেন একটি, ফিফটি তিনটি। সেঞ্চুরিটি বিপিএল মিরপুরে ফিরে আসার পর খুলনার দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে ৬২ বলে ৮ ছক্কায় অপরাজিত ১১১ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা নাঈম।
তিন ফিফটির একটি সিলেটে রংপুরের বিপক্ষে প্রথম দেখায় পেয়েছেন নাঈম। ফিফটি ও সেঞ্চুরির পর লক্ষ্যটা মাত্র ৮৬ না হলে হয়তো আজও ফিফটি পেয়ে যেতেন। ৫৮, ১১১* ও ৪৮*—রংপুরের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ২১৭ রান করেছেন নাঈম।