২৬৯ করেও বাবার কাছে যখন শুনতে হয়—ট্রিপল সেঞ্চুরি মিস করেছ

এজবাস্টন টেস্টে কাল ২৬৯ রানের ইনিংস খেলার পর বাবার অভিনন্দন বার্তা পেয়েছেন ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল।

বাবা লখিন্দর সিংয়ের সঙ্গে শুবমান গিলগিলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল

বাবারা বুঝি এমনই হন! সন্তান ভালো করলে খুশি তো হনই, পাশাপাশি কীভাবে আরও ভালো করা যেত, কোন সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে—সেসব নিয়েও সন্তানকে বলেন। শুবমান গিলের বাবা লখিন্দর সিং–ও এর ব্যতিক্রম নন। ছেলে তাঁর ইংল্যান্ডে ভারতের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড (২৬৯) গড়ার পরও লখিন্দর মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাবা ট্রিপল সেঞ্চুরিটা যে মিস হয়ে গেল!

আরও পড়ুন

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হ্যান্ডলে প্রকাশ হওয়া এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন গিল নিজেই। এজবাস্টন টেস্টে গতকাল দ্বিতীয় দিনে ২৬৯ রানে আউট হন গিল। তাঁর অসাধারণ এই ইনিংসে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৮৭ রানের পাহাড় গড়তে পেরেছে ভারত। এরপর ইংল্যান্ড নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে আজ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলেছে।

ভারতের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন গিল। বীরেন্দর শেবাগ ও করুন নায়ারের পর ভারতের ইতিহাসে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি করার সুযোগটা ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত তা না পেলেও বাবার কাছ থেকে ঠিকই অভিনন্দন পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সী গিল। ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘তাঁর কাছ থেকে (প্রশংসা) শোনা আমার জন্য অনেক কিছু। তবে তিনি এ–ও বলেছেন, আমি আমার ট্রিপল সেঞ্চুরিটা মিস করেছি। আশা করি, আমরা ম্যাচটা খুব ভালোভাবে শেষ করতে পারব।’

এজবাস্টন টেস্টে গতকাল ডাবল সেঞ্চুরি করেন গিল
এএফপি

বাবার পাঠানো অডিও বার্তা রেকর্ড করে বিসিসিআইয়ের ভিডিওতে তা দর্শকদের শুনিয়েছেন গিল। লখিন্দর সেই অডিও বার্তায় কণ্ঠে আনন্দ ঢেলে বলেন, ‘ভালো খেলেছ। তোমার ব্যাটিং উপভোগ করেছি, মনটাও শান্তি পেয়েছে। শৈশবে অনূর্ধ্ব–১৬ ও অনূর্ধ্ব–১৯ দলে যেভাবে ব্যাট করতে, ব্যাটিংটা দেখতে তেমন লেগেছে—খুব গব৴ লাগছে।’ গিলের মা কেয়ার্ত কাউর এ সময় অডিও বার্তায় বলেন, ‘তোমার ব্যাটিং দেখতে দারুণ লেগেছে। আরও এগিয়ে যাও। সৃষ্টিকর্তা সহায় হোন।’

আরও পড়ুন

দর্শকদের অডিও বার্তা শোনানোর পর গিল নিজে জানান, ট্রিপল সেঞ্চুরি মিস করার কথা বলেছেন তাঁর বাবা।

গিল আরও জানিয়েছেন, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তিনি শুধু দুজনের কথা শোনেন। একজন তাঁর বাবা, আরেকজন তাঁর বন্ধু। শুনুন গিলের মুখেই, ‘আমার মনে হয়, বেড়ে ওঠার পথে আমি বাবার জন্যই ক্রিকেট খেলেছি। কিংবা এভাবেও বলা যায় তাঁর জন্যই আমি খেলতে শুরু করি। তাঁর পাশাপাশি আরেকজন আছেন যে আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু, যার সঙ্গে আমি অনুশীলন করি। ক্রিকেট নিয়ে শুধু এ দুজনের কথাই আমি গুরুত্ব দিই এবং শুনি।’

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, গিলের সবচেয়ে ভালো বন্ধুটি সম্ভবত তাঁর জাতীয় দলের সতীর্থ অভিষেক শর্মা। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এরই মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অভিষেক। টি–টোয়েন্টিতে এখন তিনি প্রতিষ্ঠিত ওপেনার। দুজনকে বেশির ভাগ সময় একসঙ্গেই দেখা যায় বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যম। তবে ভারতেরই আরেক সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’–এর দাবি, গিলের এই বন্ধুটি আসলে খুশপ্রীত আউলাখ।