টেস্ট, ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও ওয়ার্নারের ‘১০০’

শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছেন ওয়ার্নারএএফপি ফাইল ছবি

এখন পর্যন্ত ১০০ টেস্টের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৭৫ জন। ওয়ানডেতে সংখ্যাটা আরও বেশি—২৮৫। নতুনতম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতেও ১০০ ম্যাচ খেলেছেন ২৫ জন। তবে তিন সংস্করণেই ১০০ ম্যাচ—এমন কীর্তি ইতিহাসে মাত্র তিনজনের।

এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আজ হোবার্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনারের শততম। এ ম্যাচ দিয়েই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এক তালিকায় ঢুকে গেলেন তিনি। তিন সংস্করণেই ১০০ ম্যাচ খেলার রেকর্ড এর আগে ছিল শুধু রস টেলর ও বিরাট কোহলির।

আরও পড়ুন

তিন সংস্করণেই কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলা প্রথম খেলোয়াড় ছিলেন টেলর। ২০২০ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ছিল তাঁর শততম। এর আগেই টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ১০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি হয়ে গিয়েছিল তাঁর।

কোহলিও অবশ্য ওয়ার্নারের মতোই টি-টোয়েন্টি দিয়ে ‘ত্রিশতক’-এর মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। ২০২২ সালের আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে শততম টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন তিনি।

প্রথম আলো গ্রাফিকস

২০০৯ সালে ডেভিড ওয়ার্নারের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল টি-টোয়েন্টি দিয়েই। প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে নেমে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন এ বাঁহাতি। ১৫ বছর পর আজ শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামলেন তিনি।

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন, ওয়ানডেতেও তাঁকে আর দেখতে না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে অন্তত আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে যেতে চান। আজ হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি নামলেন এ সংস্করণে এক বছরের বেশি সময় পর। নেমেই ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৬ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংস।

আরও পড়ুন

মাইলফলকের ম্যাচে ওয়ার্নারের জ্বলে ওঠা অবশ্য নতুন নয় মোটেও। ২০২২ সালে মেলবোর্নে নিজের শততম টেস্টে দ্বিশতক করেছিলেন, তার আগে ২০১৭ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতেও করেছিলেন শতক। দুই ম্যাচেই হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। এ ম্যাচেও ওয়ার্নারের হাতে উঠতে পারে সে পুরস্কার। ওয়ার্নারের ঝোড়ো ইনিংসের পর অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২১৩ রান।