জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির সেরা বোলিং এখন আলাউদ্দিন বাবুর
২০১০ সালে একবার হয়ে বাক্সবন্দী হয়ে পড়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ১৪ বছর পর আবার গত বছর মাঠে গড়ানো সেই টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসর চলছে এখন। সিলেটে আজ সেই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সেরা বোলিং করলেন আলাউদ্দিন বাবু।
৩৩ বছর পেসার সিলেটের একাডেমি মাঠে রংপুর বিভাগের হয়ে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটা ছিল মুক্তার আলীর। ২০১০ সালে বিকেএসপিতে খুলনার বিপক্ষে রাজশাহীর হয়ে ২২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার।
আলাউদ্দিন ও মুক্তার ছাড়া জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি ৫ উইকেট পেয়েছেন শুধু রুবেল হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক পেসার ২০১০ সালেই ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রামের হয়ে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।
৭৭ ম্যাচের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ৫ উইকেট পাওয়া আলাউদ্দিনের দল রংপুর আজ ৬ উইকেটে বরিশালকে হারিয়ে তৃতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেয়েছে। বরিশাল ১৯.৩ ওভারে অলআউট হয় ১০৬ রানে। লক্ষ্যটা ১৩.৩ ওভারেই ছুঁয়ে ফেলে রংপুর। দলটির ওপেনার অনিক সরকার ৩৫ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকার পথে মেরেছেন ৫টি ছক্কা।
বরিশালের ইনিংসের ১৪তম ওভারে প্রথম বোলিংয়ে আসেন আলাউদ্দিন। এর আগেই ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বরিশাল। টানা চার ওভারের স্পেলে প্রথম তিন ওভারে ১টি করে উইকেট নেওয়ার আলাউদ্দিন ২০তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে উইকেট নিয়ে বরিশালের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেছেন ফজলে রাব্বি।
নাজমুলের রাজশাহীকে হারিয়ে চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়
একই মাঠে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৩০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। চট্টগ্রাম করেছিল ৬ উইকেট ১৫৫ রান। রান তাড়ায় রাজশাহী ৮ উইকেটে করতে পারে ১২৫ রান।
চট্টগ্রামের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন দুজন—মুমিনুল হক ও শাহাদাত হোসেন। জাতীয় দলের ওপেনার মাহমুদুল হাসান ৭ বলে ৬ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে ৬২ বলে ৮৫ রান যোগ করেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের দুই সদস্য। ৬ রান ও ৭ বলের ব্যবধানে ফেরেন দুজন। ওপেনিংয়ে নামা মুমিনুল ৩৭ বলের ইনিংসে মারেন ৬টি চার। ৩৩ বলের ইনিংসে শাহাদাত মারেন ৪টি চার ও ২টি ছক্কা। দুজনের বিদায়ের পর শেষ ৩৯ বলে ৪৯ রান যোগ করে চট্টগ্রাম।
রান তাড়ায় নাজমুল হোসেনের রাজশাহীর কোনো ব্যাটসম্যানই টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি। আটে নেমে সর্বোচ্চ ১০৯.০৯ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি খেলেন নিহাদউজ্জামান, করেন ১১ বলে ১২ রান। ২৩ বলে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন প্রীতম কুমার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ২১ বলে ২১ ও সাব্বির হোসেন ২৪ বলে করেন ২১ রান।