হঠাৎ এ কথা কেন বলছেন মাঞ্জরেকার? ভারতের এই ধারাভাষ্যকার মনে করেন, গত অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে কোহলি আসলেই অনেক কম ম্যাচ খেলেছেন। তিনি আঙুল গুনে তাঁর কথার পক্ষে হিসাবও হাজির করেছেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কোহলি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন মাত্র চারটি। এর দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, দুটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ভারতীয় সম্প্রচার সংস্থা স্পোর্টস-১৮–এর অনুষ্ঠান ‘ওভার দ্য টপ’–এ এসে মাঞ্জরেকার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, কোহলিকে ভারতের প্রায় সব ম্যাচেই খেলানো উচিত। যতটা সম্ভব খেলানো উচিত। অনেকেই ওকালতি করছেন যে কোহলির বিশ্রামে যাওয়া উচিত, ক্রিকেটের বাইরে কিছুদিন থাকা উচিত, কিন্তু সে তো অনেক বিশ্রাম পেয়েছে, আর কত! সবশেষ দুই বছরে ভারতের খেলাগুলোর দিকে যদি তাকান, তাহলে দেখবেন, কোহলি অনেক ম্যাচেই খেলেনি।’
মাঞ্জরেকার মনে করেন, কোহলির জন্য বেশি করে ম্যাচ খেলাই ফর্মে ফেরার সেরা উপায়, ‘আমি জানি না সে কেন এত বিশ্রামে ছিল। তাঁকে কেন ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এত বেশি খেলার বাইরে থাকার অনুমতি দিল। কারণ তো অবশ্যই আছে। কোহলি নিশ্চয়ই তাদের বলেছে সেটি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কোহলি যত বেশি খেলবে, সেটিই তাকে তত তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরতে সাহায্য করবে।’
ভারতীয় পেসার ভূবনেশ্বর কুমারের উদাহরণ টেনেছেন মাঞ্জরেকার। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের দিকে একের পর এক চোটে পড়ে নিজের ধার হারিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই বাজে অবস্থা কাটিয়ে উঠে দারুণ ফর্মে এখন ভূবনেশ্বর। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হয়তো ভূবনেশ্বর ভারতীয় দলে থাকছেন, ‘ভূবনেশ্বর এই তিন বছর আগেও তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখছিল। কিন্তু এখন সে তার সেরা ফর্মে আছে। এক সাক্ষাৎকারে সে বলেছিল, “আমি যত বেশি খেলব, তত বেশি ছন্দ ফিরে পাব। তত ভালো বোলিং করতে পারব।” এটা কেবল ভূবনেশ্বর নয়, সব ক্রীড়াবিদের ক্ষেত্রেই সত্য। যখন কেউ বাজে ফর্মে থাকবে, তখন দূরে সরে থাকা নয়, সেরা সমাধান হচ্ছে বেশি করে ম্যাচ খেলা, বেশি বেশি মাঠে থাকা।’