‘ওদের হয়তো বিসিসিআইয়ের মতো টাকা নেই’

ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কারইনস্টাগ্রাম/সুনীল গাভাস্কার

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে মাত্র ছয়টি করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার সূচি আছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু দুই দলের তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসই হতে পারেনি। রোববার ডারবানের কিংসমিডে দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়ে যায়।

ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার ম্যাচ পণ্ড হয়ে যাওয়ায় ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার (সিএসএ) ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁর মতে, বৃষ্টির সময় যথাযথ ব্যবস্থা নিলে খেলা হয়তো চালানো যেত। আর তাই সিএসএকে খোঁচা মেরে গাভাস্কার বলেছেন, ওদের হয়তো বিসিসিআইয়ের মতো অত টাকা নেই।

দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা দক্ষিণ এশিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ থাকেন ডারবানে। দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি নিয়ে দর্শক সাড়াও দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি। এক মাস আগেই এই ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টি ম্যাচের টসই হতে দেয়নি। খেলা শুরুর নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট পর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে মাঝের অংশ কাভারে ঢেকে দেওয়া হয়
এএফপি

মূলত ওই সময় বৃষ্টি বন্ধ হলেও খেলার জন্য মাঠ প্রস্তুত করা যেত না বলেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বৃষ্টির সময় পুরো মাঠ কাভার দিয়ে ঢাকা থাকলে খেলা চালানোর একটা সম্ভাবনা হলেও হতে পারত বলে ধারণা গাভাস্কারের। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্যে তিনি বলেন, ‘মাঠ যদি এভাবে ঢাকা না থাকে, বৃষ্টি বন্ধ হলেও পরের এক ঘণ্টায় ম্যাচ শুরু করা যাবে না। হঠাৎ করে আবার বৃষ্টি শুরু হলো। খেলাও আর হলো না। সব ক্রিকেট বোর্ডই তো প্রচুর টাকা পায়। যদি বলে পায় না, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। ওদের হয়তো বিসিসিআইয়ের মতো টাকা নেই। কিন্তু সব বোর্ডই পুরো মাঠ ঢাকতে কাভার কেনার জন্য টাকা পায়।’

আরও পড়ুন

বৃষ্টিতে খেলা পণ্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনা কমিয়ে আনতে পুরো মাঠ কাভারে ঢাকা দরকার বলে মনে করেন গাভাস্কার। আর মাঠ প্রস্তুত রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ বেশি জরুরি বোঝাতে গিয়ে কলকাতার ইডেন গার্ডেনের উদাহরণ টানেন তিনি, ‘বোর্ডগুলোকে পুরো মাঠ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এখানে অজুহাতের সুযোগ নেই। আমার মনে পড়ে, একবার ইডেন গার্ডেনে সমস্যা হওয়ায় ম্যাচ ঠিক সময়ে শুরু হয়নি। পরের ম্যাচেই দেখা গেল পুরো মাঠ কাভারে ঢাকা। এ ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। তখন সৌরভ গাঙ্গুলী দায়িত্বে ছিল, সে নিশ্চিত করতে চেয়েছে, কেউ যাতে মাঠের দিকে আঙুল তুলতে না পারে।’

আরও পড়ুন