টাকা না পেয়ে বিদেশিরা খেলছেন না, ‘বিশেষ ব্যবস্থা’য় খেলছে রাজশাহী
খেলার আগে কখনো কোনো কোচকে ওয়ার্মআপ করতে দেখেছেন? আজ সন্ধ্যায় যাঁরা মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ছিলেন, তাঁরা দেখেছেন। ম্যাচের আগে বিপিএলের আলোচিত দল দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমের সামনে ওয়ার্মআপ করছেন, ওদিকে দলের পাকিস্তানি কোচ ইজাজ আহমেদ মাঠে দৌড়াচ্ছেন।
খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক যথাসময়ে না দেওয়া, চট্টগ্রামে হোটেল বিল দিতে না পেরে বিব্রতকর অবস্থায় পড়া—এমন নানা নেতিবাচক ঘটনার পর আজ রাজশাহীকে নিয়ে সর্বশেষ বিতর্ক, টাকা পাননি বলে দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সন্ধ্যার ম্যাচে খেলবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। দলের সঙ্গে হোটেল থেকে মাঠেও আসেননি তাঁরা। কিন্তু বিপিএলের বাইলজ অনুযায়ী, একটি ম্যাচে একটি দলের হয়ে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে পারবেন। সঙ্গে বাধ্যবাধকতা, সর্বনিম্ন দুজন বিদেশি এক ম্যাচে খেলাতেই হবে।
রাজশাহী জানিয়েছে, বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে তারা একটু সমস্যায় আছে। সমস্যাটা কী, তা বলেনি। তারা আবেদন জানিয়েছে, এই ম্যাচটা তারা বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেলতে চায়। বিশেষ বিবেচনায় আমরা তাদের সে অনুমতি দিয়েছি।রকিবুল হাসান, বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান
তবে কি রায়ান বার্ল, মোহাম্মদ হারিসদের অনুপস্থিতিতে কোচ ইজাজ আহমেদ আর সহকারী কোচ রাও ইফতেখার আনজুমকে মাঠে নামিয়ে দেবে রাজশাহী! টসের আগে মাঠে ইজাজ আহমেদের দৌড়াদৌড়ি দেখে সেই গুঞ্জনই ছড়িয়ে যায় শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা হয়নি। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের টেকনিক্যাল কমিটির ‘বিশেষ বিবেচনায়’ এই ম্যাচটা কোনো বিদেশি ছাড়াই খেলতে যাচ্ছে রাজশাহী। স্কোরারদের কাছে পাঠানো খেলোয়াড় তালিকায় দেখা গেছে, একাদশ সাজানো হয়েছে শুধু স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে। অবশ্য টস হয়ে গেলে সংবাদমাধ্যমকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত খেলোয়াড় তালিকা সরবরাহ করেনি রাজশাহী।
বিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান রকিবুল হাসান প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেছেন, ‘রাজশাহী জানিয়েছে, বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে তারা একটু সমস্যায় আছে। সমস্যাটা কী, তা বলেনি। তারা আবেদন জানিয়েছে, এই ম্যাচটা তারা বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেলতে চায়। বিশেষ বিবেচনায় আমরা তাদের সে অনুমতি দিয়েছি। টুর্নামেন্টের বৃহত্তর স্বার্থে টেকনিক্যাল কমিটির সে এখতিয়ার আছে।’
এর আগে আজ হোটেলও বদলাতে হয়েছে দুর্বার রাজশাহী দলকে। চট্টগ্রামের মতো ঢাকায় তারা যে হোটেলে ছিল, সেখানেও নাকি বকেয়া পরিশোধে সমস্যা হচ্ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজির। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের মালিকানাধীন অন্য একটি হোটেলে থাকতে বলে রাজশাহী দলকে। সে হোটেলও আবার বর্তমানে চালু অবস্থায় নেই। সংস্কারকাজ চলছে সেখানে।