কানাডার হয়ে খেলতে চেয়েছিলেন বুমরা

পরিবারসহ কানাডায় পাড়ি জমানোর চিন্তা করেছিলেন যশপ্রীত বুমরাএএফপি

আজকাল যশপ্রীত বুমরাকে ছাড়া ভারতের পেস বোলিং আক্রমণ ভাবা যায় না। চোটে না পড়লে কিংবা বিশ্রাম না পেলে ডানহাতি এ পেসারের ভারতের একাদশে থাকাটা নিশ্চিত। কিছুটা অদ্ভুত অ্যাকশনের বুমরাকে ভারতীয় পেস বোলিং বিপ্লবের প্রতীকও বলা চলে। সেই বুমরা জানালেন, একটা সময় তিনি কানাডার অভিবাসী হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছিলেন। শুধু কানাডার নাগরিকত্বই নয়, বুমরা ‘স্বপ্ন’ দেখছিলেন কানাডার হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলারও।

২০১৬ সালে ভারতের হয়ে অভিষেক বুমরার। এর তিন বছর আগে তাঁকে কিনে নেয় আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। তবে এর আগে অন্য সবার মতো নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে শুরু করছিলেন বুমরা। ক্রিকেট ক্যারিয়ার যদি ডানা না মেলে তবে কী করবেন, সেই ভাবনা পেয়ে বসেছিল তাঁকে। তখনই কানাডায় অভিবাসনের কথা ভাবা শুরু করেছিলেন বুমরা।

ভারতের জিও সিনেমা নামের ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে বুমরার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাঁর উপস্থাপক স্ত্রী সঞ্জনা গনেশন। সেখানে সানজানা বুমরাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি তো কানাডায় গিয়ে নতুন জীবন শুরু করতে চেয়েছিলে?’

স্ত্রী সঞ্জনা গণেশনের সঙ্গে যশপ্রীত বুমরা
ইনস্টাগ্রাম

৩০ বছর বয়সী বুমরা ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি এমনটা চেয়েছিলেন, ‘ক্রিকেট খেলে বড় হতে কে না চায়? ভারতের প্রতিটি সড়কেই অন্তত ২৫ জন খেলোয়াড় আছে, যাদের স্বপ্ন ভারতের হয়ে খেলা। (তাই) আপনাকে বিকল্পও কিন্তু ভাবতে হবে। সেখানে (কানাডা) আমাদের আত্মীয় থাকে। আমি ভাবতাম পড়াশোনা শেষ করে যাব সেখানে। পুরো পরিবার নিয়েই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শুরুতে, পরে ভিন্ন সংস্কৃতির দেশে মা যেতে চাইলেন না। ’

আরও পড়ুন

ক্রিকেট মাঠের সাফল্যই যে সেটা হতে দেয়নি, বুমরা জানা কথাটাও বললেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে এগিয়েছে। নইলে কে জানে আমি কানাডা দলে খেলার চেষ্টা করতাম কি না, পাশাপাশি অন্য কিছুও হয়তো করতাম। ভালো লাগছে যে আমি ভারত দল ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে খেলছি।’

আরও পড়ুন