তানজিদ যে প্রশ্ন কোচ–অধিনায়কের কাছে রাখতে বললেন
প্রথম ম্যাচে ১৩.৩ ওভারে ৮ উইকেটের জয়। আজ জয় এসেছে আরও দুই বল আগে এবং একটি উইকেট বেশি হাতে রেখে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জয়ের তৃপ্তি তাই থাকারই কথা বাংলাদেশের। তবে অস্বস্তিও আছে। সামনে এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্ট, তার আগে দুই ম্যাচ মিলিয়ে বাংলাদেশের মাত্র চারজন ব্যাটিংয়ে নামতে পেরেছেন।
টস জিতে আগে ব্যাট করলে সেই সংখ্যাটা বাড়তে পারত, অন্তত যাঁরা ব্যাট করেছেন, তাঁরা আরেকটু বেশি সময় পেতেন। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও দুই ম্যাচেই টস জিতে কেন আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগটা নেওয়া হলো না? প্রশ্নটা উঠেছিল আজ ডাচদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিও জিতে বাংলাদেশের সিরিজ জয় নিশ্চিতের পর। বিশেষত যখন সিরিজটা আয়োজনের পেছনেই আছে এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির প্রেক্ষাপট।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে উত্তরটি দেন প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা তানজিদ হাসান, ‘ঘরের মাঠের সুবিধা সবাই নিতে চায়। আগের ম্যাচে দেখেছেন প্রচুর শিশির পড়েছে। পরে ব্যাটিং করা সহজ হয়েছে। আজও একই ভাবনা ছিল হয়তো শিশির পড়বে। যেহেতু এটা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ছিল।’
কিন্তু প্রসঙ্গটা ঘুরে এসেছিল আবার। প্রথম দুই ম্যাচে না হয় সুবিধা নেওয়া হলো, তৃতীয় টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দল কি আরেকটু বেশি ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দেবে ব্যাটসম্যানদের? এবার তানজিদের উত্তর, ‘টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছি কেন, এটা অধিনায়ক–কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
প্রশ্নটা পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে করা হয়েছিল অধিনায়ক লিটন দাসকেও। প্রথম দুই ম্যাচে বাংলাদেশ যা করেনি, অন্তত তৃতীয় ম্যাচে নিশ্চয়ই টস জিতলে আগে ব্যাটিংই নেবেন লিটন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন দুটি শব্দ, ‘দেখা যাক।’
ডাচদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশের সামনে এখন হাতছানি ধবলধোলাইয়ের। তবে তানজিদ বলছেন, ‘সব ম্যাচই আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটিই আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ছোট দল বড় দল ভেদাভেদ নেই। সব দলই টি-টোয়েন্টিতে সমান। যে যার দিনে ভালো ক্রিকেট খেলবে, সে-ই জিতবে। সামনে এশিয়া কাপ। নিয়মিত আমরা ভালো খেলছি, এটা ধরে রাখলে ভালো হবে আর আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।’