পিএসজি ছোট ক্লাব—ইনস্টাগ্রাম রিলে নেইমারের ‘লাইক’

পিএসজি ছোট ক্লাব—ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লাইক নেইমারেরছবি: রয়টার্স

গতকাল বাড়ির সামনে হয়েছে তুলকালাম। পিএসজির সমর্থকেরা স্লোগান দিয়ে দাবি জানিয়েছেন, নেইমার যেন ক্লাব ছেড়ে চলে যান। ক্লাব কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই লিওনেল মেসির সৌদি আরব যাত্রা ও তাঁকে দুই সপ্তাহের জন্য নিষিদ্ধ করা নিয়ে পিএসজি যখন উত্তাল, তখন পিএসজির সমর্থক গোষ্ঠী ‘পিএসজি আলট্রা’র নেইমারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ অস্থিরতার মাত্রা বাড়িয়েছে। এবার সেই উত্তাপে নতুন ‘জ্বালানি’ হয়ে এসেছে ইনস্টাগ্রামে নেইমারের একটি ‘লাইক’।

‘অফউইক্লিয়ার’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম পেজ নেইমারের বাড়ির সামনের ভিডিও নিয়ে একটি রিল পোস্ট করেছে। সেখানে ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে, ‘এটাই হচ্ছে বড় দল হওয়া আর বড় দল হয়ে থাকার মধ্যে পার্থক্য। পিএসজির অভাব এটিই। পিএসজির সমর্থকদের মধ্যে এই বড় দলের সমর্থক-সংক্রান্ত ব্যাপারগুলোরই অভাব। ঐতিহ্য থাকাটা ঐচ্ছিক কোনো বিষয় নয়। বড় দল হিসেবে গড়ে উঠতে এটা (ঐতিহ্য) তৈরির চেষ্টাটা জরুরি। বড় দল হিসেবে আচরণটাও হওয়া উচিত তেমনই। পিএসজি একটা ছোট দল।’

নেইমারকে ক্লাব ছাড়তে বলেছেন পিএসজি সমর্থকেরা
ছবি: টুইটার

‘অফউইক্লিয়ার’ নামের ইনস্টাগ্রাম পেজের এই ক্যাপশনের রিলেতে ‘লাইক’ দিয়েছেন নেইমার। ৩১ বছর বয়সী ব্রাজিল তারকা এবারের মৌসুমে বেশ কিছুদিন ধরেই চোটের কারণে মাঠের বাইরে। পিএসজির প্রায় অর্ধেক মৌসুম মিস করেছেন। ২০১৭ সালে দলবদলের রেকর্ড গড়ে পিএসজিতে আসা নেইমার অবশ্য কখনোই সমর্থকদের কাছে খুব প্রিয় হয়ে উঠতে পারেননি। গত মৌসুমেই ক্লাব ছাড়ার চেষ্টা করেছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন অনুশীলনেও। মাঠ ও মাঠের বাইরে বেশ কয়েকবারই তাঁকে দুয়োধ্বনি দিয়েছেন পিএসজির সমর্থকেরা।

চোটের কারণে এ মৌসুমে অনেক দিন ধরেই মাঠের বাইরে আছেন ব্রাজিল তারকা
ছবি: টুইটার

আরএমসি নামের একটি ফরাসি গণমাধ্যম জানায়, গতকাল বুধবার ফ্রান্সের স্থানীয় সময় বিকেল ছয়টার দিকে পিএসজির প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বেশ কিছু পিএসজির সমর্থক। তাঁদের হাতে ছিল নিজেদের ক্ষোভ সংবলিত ব্যানার। এই দল থেকে কিছু সমর্থক চলে যান নেইমারের বাড়ির সামনে। সেখানে তাঁরা নেইমারকে দ্রুত পিএসজি ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। নেইমার সে সময় বাড়িতে ছিলেন কি না, তা সেটি স্পষ্ট না হলেও ব্রাজিল ফুটবলার ‘আইওয়াজক্লিয়ার’ ইনস্টাগ্রাম পেজের ওই ভিডিওতেই দুটি মন্তব্য করেন। প্রথমটিতে তিনি লেখেন, ‘তারা বাড়িতে এসেছিল।’ দ্বিতীয়টিতে লেখেন, ‘এখন তারা সবাই চলে গেছে।’