‘সুপার লিগ ঠেকাতে’ ব্রিটিশ সরকারের বিশেষ কমিটি

ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ঠেকাতে নতুন কমিটিছবি: টুইটার

ইংল্যান্ডের ফুটবলের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে তদারকি করতে একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠনের ঘোষাণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। তবে এই কমিটির ক্ষমতা শুধু এটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। তারা যেকোনো ক্লাবকে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের মতো নতুন লিগে যাওয়া থেকেও আটকাতে পারবে। নতুন এই কমিটির পক্ষে–বিপক্ষে মত দিয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল–সংশ্লিষ্টরা।

নতুন করে গঠিত হতে যাওয়া এই নিয়ন্ত্রক কমিটি ক্লাবগুলোকে লাইসেন্স দেবে, ক্লাবগুলোকে আবার তাদের ভালো মানের ব্যবসায়িক মডেল প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি ক্লাবগুলোতে সমর্থকদের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

এই কমিটি গঠন করা নিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ‘দেশে এবং দেশের বাইরে সাফল্যের পরও আমরা জানি যে এখানে এমন হুমকি আছে, যা কিনা বড় এবং ছোট দুই ধরনের ক্লাবের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নতুন এই সাহসী পরিকল্পনা ফুটবলকে ভক্তদের হৃদয়ে ফেরাবে। পাশাপাশি আমাদের ভালোবাসার ক্লাবগুলোর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর খেলাটিকে সুরক্ষিত রাখবে।’

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের বিপক্ষে ম্যান সিটির সমর্থকদের প্রতিবাদ
ছবি: রয়টার্স

ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) প্রধান নির্বাহী মার্ক বুলিংহাম এফএর পক্ষ থেকে এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন। নিয়ন্ত্রক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দ্য ফুটবল সাপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনও (এফএসএ) বিবৃতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন

তারা বলেছে, ‘সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রস্তাবনাগুলো মালিকানা, বেপরোয়া প্রতিযোগিতা এবং স্থায়িত্বকে ঘিরে আমাদের যে উদ্বেগ, সেটাকে চিহ্নিত করেছে। আর ক্লাব পরিচালনায় সমর্থকদের অংশগ্রহণের পরিধিকে বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমরা অবশ্যই সমর্থন করব।’

তবে প্রিমিয়ার লিগ সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, এই কমিটির কাজকর্ম যেন খেলাটিকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা এখন অংশীদারদের সঙ্গে আরও গঠনমূলক উপায়ে কাজ করব, যেন সরকার প্রস্তাবিত নিয়ন্ত্রক কমিটি ভুলবশত এমন কিছু না করে, যা কিনা প্রিমিয়ার লিগের অবস্থানকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

আরও পড়ুন

কেউ কেউ অবশ্য এই প্রস্তাবের বিপক্ষেও অবস্থান নিয়েছে। ওয়েস্ট হামের মালিক ডেভিড সুলিভান এই ভাবনাকে ‘ভয়ংকর’ উল্লেখ করে বলেছেন, ‘এটা পুরোপুরি টাকার অপচয় হতে যাচ্ছে। আমি বাজি ধরে বলতে পারি, এটা প্রতিবছর আকার এবং খরচে বাড়বে।’