লাতিন ফুটবল সংস্থার বিরুদ্ধে ৩৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

কোপা আমেরিকার আয়োজকদের দিকে অভিযোগের তিরফাইল ছবি

কোপা আমেরিকা, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ত্ব পেতে লাতিন ফুটবল সংস্থাকে (কনমেবল) ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার ঘুষ দিয়েছিল ফক্স স্পোর্টস। আর্জেন্টাইন ব্যবসায়ী, ফিফার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আলেহান্দ্রো বুরজোকা গতকাল আদালতে তাঁর সাক্ষ্যতে এই  তথ্য জানিয়েছেন।

বুরজোকা নিজে ও ফক্স স্পোর্টসের দুজন নির্বাহী কর্মকর্তা লাতিন ফুটবল সংস্থার ছয়জন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ঘুষ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অঙ্ক ৩৪১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন

ঘুষ নেওয়া এই ছয় ব্যক্তির মধ্যে আছেন সাবেক কনমেবল সভাপতি নিকোলাস লিওজ, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি রিকার্দো তিসেরা ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী হুলিও গ্রানদোনা।

লাতিন ফুটবল সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ছয়জন ব্যক্তিকে ঘুষ দিয়েছিলেন বুরজোকা, ফক্স স্পোর্টসের হারনান লোপেজ ও কার্লোস মার্তিনেজ। প্রাথমিকভাবে ফুটবলের কর্তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্য ৬ কোটি ডলার বাজেট ধরা হলেও দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ ডলার।

সর্বশেষ কােপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
ছবি: এএফপি

২০১৫ সালে ফিফার দুর্নীতির বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার কারণেই পুরো টাকাটা দেওয়া হয়নি বলে আদালতে জানিয়েছেন বুরজোকা। কেন শুধু এই ছয়জনকে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল, এই প্রশ্নে আর্জেন্টাইন ব্যবসায়ী বলেছেন, ‘আমরা তাঁদের ঘুষ দিয়েছি, কারণ, তাঁরা সবাই কনমেবলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন।’ যদিও ফক্স সংস্থা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন

‘ফুল প্লে গ্রুপ’ নামের আরেকটি স্পোর্টস মিডিয়াও বিচারের আওতাধীন আছে। অন্য আরেকটি সম্প্রচার স্বত্ত্ব পাওয়ার বিষয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আছে।
২০১৫ সালে ফিফার সাতজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা এফবিআই। অবৈধ আর্থিক লেনদেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পুলিশি অভিযান চালানো হয়েছিল ফিফার সদর দপ্তরে।

আরও পড়ুন

পঞ্চম দফায় সভাপতি নির্বাচিত হলেও প্রবল সমালোচনার মুখে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সেপ ব্ল্যাটার। সে সময় গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে পালিয়ে যান বুরজোকা। যদিও সে বছরের জুনেই ইতালির পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। পরে দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ফিফার নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য। এই মামলায় তিনিও এখন এফবিআইয়ের প্রধান সাক্ষী।