জিরুর জোড়া গোলে নকআউটে এসি মিলান

অলিভিয়ের জিরুর গোল উদ্‌যাপনছবি: টুইট

এক সময়ের ইউরোপীয় পরাশক্তি তারা। সব হারিয়ে ধুঁকেছে লম্বা সময় ধরে। সেই এসি মিলান গত কয়েক মৌসুম ধরে সাফল্যের জন্য খোঁজে ছিল। গত মৌসুমে লম্বা সময় পর তারা জিতেছে সিরি ‘আ’ শিরোপাও। তবে মিলান মানে তো ইউরোপীয় রাজত্ব। সেই রাজত্ব পুনরুদ্ধার অবশ্য এখনো অনেক পরের ব্যাপার।

তবে আপাতত স্বস্তি হচ্ছে, গ্রুপ ‘ই থেকে রানার্সআপ হয়ে নকআউট পর্বে যাওয়া। এর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন লিগে সর্বশেষ নকআউট পর্বে খেলেছিল মিলান। এবার সালজবুর্গকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফের নকআউট নিশ্চিত করল ইতালির ক্লাবটি।

মিলানের মাঠ সান সিরোতে এদিন দুই দলের জন্যই লড়াইটা ছিল বাঁচা-মরার। যে জিতবে সে গ্রুপ থেকে নকআউটে চেলসির সঙ্গী হবে। এমন ম্যাচে সালজবুর্গকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে মিলান। গ্রুপের অন্য ম্যাচে দিনামো জাগরেবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসি।

মিলানের উদ্‌যাপন
ছবি: টুইটার

সান সিরোতে এদিন দুই দলই শুরু থেকে চেষ্টা করেছে গোল আদায় করতে। ১৪ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুল কাজে লাগিয়ে মিলানকে এগিয়ে দেন অলিভিয়ের জিরু। গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে সালজবুর্গ।

প্রথমার্ধের শেষ ১৫ মিনিটে মিলানকে রীতিমতো চেপে ধরে অতিথিরা। এ সময় ৭৬ শতাংশ বলের দখল ছিল সালজবুর্গের কাছে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর আসেনি।

আরও পড়ুন

বিরতির পর অবশ্য একচ্ছত্র দাপটই দেখিয়েছে মিলান। সালজবুর্গকে আর ম্যাচে ফেরার কোনো সুযোগ দেয়নি স্টেফানো পিউলির দল। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একে একে আরও তিনবার সালজবুর্গের জালে বল জড়ায় ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে সালজবুর্গের নকআউটে খেলার সম্ভাবনাও শেষ করে দিয়েছে মিলান।

আরও পড়ুন

সব মিলিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকত হচ্ছে মিলানকে। তবে এখন সামনে প্রতিপক্ষ যেই হোক ভয় পাচ্ছেন না এসি মিলান কোচ। পিউলি বলেছেন, ‘প্রথমার্ধে আমরা অনেক ভুগেছি, তবে আমরা সব সময় বিপজ্জনক ছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় গোলটির পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে আমাদের হাতে আসে। আমার কাছে এটি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা ম্যাচ।’

নকআউটের প্রতিপক্ষে নিয়ে জানতে চাই পিউলি আরও বলেছেন, ‘কাদের সঙ্গে দেখা হবে? এটা কঠিন ম্যাচ হবে। আমরা ইতালির চ্যাম্পিয়ন। বড় কোনো আশার ব্যাপারে ভয়হীন থাকতে হবে আমাদের।’

পিছিয়ে পড়েও জিতল চেলসি

চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত করেছিল চেলসি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে অবশ্য বেশ চাপেই পড়ে গিয়েছিল গ্রাহাম পটারের দল। নিজেদের মাঠে ৭ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে তারা। পরে রহিম স্টার্লিং ও ডেনিস জাকারিয়ার গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্টামফোর্ড ব্রিজের দলটি।