পেলের মেয়ে জানালেন, বাবা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে

ছবিটি ছয় বছর আগের।১৯৫৮ বিশ্বকাপে জেতা (জুলেরিমে) ট্রফি হাতে পেলে। শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখন হাসপাতালে আছেন কিংবদন্তিছবি: রয়টার্স

আবারও গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল, পেলে মারা গেছেন! কিংবদন্তির মৃত্যুর এই গুজব কাল রাতে ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আর সে জন্যই পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আজ হাসপাতালে বাবার পাশে থাকার একটি ছবি পোস্ট করেন, জানিয়েছে আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’।

সংবাদ সংস্থা এএফপি অবশ্য এ গুজব নিয়ে কিছু জানায়নি। কেলির পোস্ট করা ছবিটি নিয়ে এএফপির খবরে জানানো হয়, পেলে এখনো আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

কেলির পোস্ট করা ছবিটিতে দেখা যায়, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন পেলে। তাঁর শরীর ও মুখের এক পাশ দেখা যাচ্ছে। অন্য পাশ থেকে পেলেকে জড়িয়ে ধরেছেন কেলি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমরা এখনো এখানে (হাসপাতালে) মনে বিশ্বাস নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আরও একটি রাত একসঙ্গে।’

অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে গত বছর সেপ্টেম্বরে মলাশয়ের টিউমার অপসারণ করেছিলেন পেলে। এর পর থেকেই কেমোথেরাপি নিয়ে আসছেন তিনবারের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি। কিন্তু শরীরে কেমোথেরাপি কাজ না করায় গত ২৯ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। এরপর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে পেলের। তাঁকে সাধারণ ওয়ার্ডেও নিয়ে আসা হয়। এভাবেই সব চলছিল।

ইনস্টাগ্রামে আজ এই পোস্ট করেন কেলি নাসিমেন্তো
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কিন্তু গত বুধবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, পেলের ক্যানসারের অবনতি হয়েছে। এ ছাড়া কিডনি ও হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যাও আছে। বড়দিনটা পেলেকে হাসপাতালেই কাটাতে হবে। আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কিডনি ও হার্টের সমস্যার জন্য তাঁর আরও নিবিড় তত্ত্বাবধান প্রয়োজন।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

পেলেকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা না হলেও ক্যানসারের অবস্থার ‘অবনতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে ভর্তির সময় পেলের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণও ধরা পড়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কিছু বলেনি। পেলের দুই মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো ও ফ্লাভিয়া আরান্তেস হাসপাতালের এই বিবৃতির আগেই ইনস্টাগ্রামে জানিয়ে দেন, বড়দিনটা বাসায় কাটানো হচ্ছে না কিংবদন্তির।

নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে পেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পর তাঁকে নিয়ে বড় দুশ্চিন্তায় পড়েছিল ফুটবল-বিশ্ব। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, পেলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। পরে অবশ্য সুস্থ হয়ে ওঠেন, যা তখন ভক্তদের জানিয়েছিলেন দুই মেয়ে। কাতার বিশ্বকাপ হাসপাতালে থেকেই দেখেছেন পেলে। নেইমার তাঁর গোলের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার পর শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর ইনস্টাগ্রামে পেলে লিখেছিলেন, ‘অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। ডিয়েগো এখন হয়তো হাসছে।’

নভেম্বরের শেষ দিকে পেলের অসুস্থতার সময় ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে তাঁর সুস্থতা কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘রাজার জন্য প্রার্থনা।’