ভিনিসিয়ুসের আলোয় পথ দেখে শেষ ষোলোয় রিয়াল

গোলের পর ভিনিসিয়ুসের উদ্‌যাপনএএফপি

ক্লাব বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফিলাডেলফিয়ার লিংকন ফিন্যান্সিয়াল ফিল্ডে আজ অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবুর্গকে ৩–০ গোলে হারিয়েছে জাবি আলোনসোর দল। গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ফেদেরিকো ভালভের্দে ও গঞ্জালো গার্সিয়া। গোল করার পাশাপাশি ভালভের্দের গোলের উৎসও ছিলেন ভিনিসিয়ুস।

এ জয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠল ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে অপরাজিত থাকা রিয়াল। অন্য ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব পাচুকাকে ২–০ গোলে হারানো সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালও উঠেছে শেষ ষোলোয়। সমান ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। সালজবুর্গ ও পাচুকা বিদায় নিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।

হার্ড রক স্টেডিয়ামে আগামী মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোয় রিয়ালের প্রতিপক্ষ ‘জি’ গ্রুপে রানার্সআপ দল জুভেন্টাস। অরল্যান্ডোয় সোমবার ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে আল হিলাল।

আরও পড়ুন

রিয়ালের জয়ে দুর্দান্ত খেলেছেন ভিনিসিয়ুস। ৪০ মিনিটে জুড বেলিংহামের ডিফেন্স–চেরা দূরপাল্লার পাস ধরে গায়ের সঙ্গে দুই ডিফেন্ডার সেঁটে থাকলেও বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন ব্রাজিলিয়ান এ উইঙ্গার।

(গোলের) ভিডিও দেখিনি কিন্তু গুতির কথা মনে পড়েছে। তিনি এই ক্লাবের কিংবদন্তি। আমার ক্যারিয়ারে এটা অন্যতম সুন্দর (অ্যাসিস্ট) এবং সবচেয়ে বড় কথা এটা ছিল ফেদের জন্য।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রিয়াল মাদ্রিদ তারকা

প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বল নিয়ে সালজবুর্গের বক্সে ঢুকে পেছনে থাকা ভালভের্দেকে দারুণ ব্যাকহিল পাস দেন ভিনি। সেখান থেকে গোল করেন উরুগুয়ে তারকা। ভিনির এ ব্যাকহিল পাস দেখে কারও কারও রিয়ালের সাবেক মিডফিল্ডার গুতি রদ্রিগেজকে মনে পড়তে পারে। খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ারে চতুর সব ব্যাকপাস দিতেন গুতি। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে রিয়াজরে দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে চোখধাঁধানো ব্যাকহিল পাসে করিম বেনজেমাকে দিয়ে গোল করিয়েছিলেন গুতি। পাসটি এতই সুন্দর ছিল যে সেটি ‘রিয়াজর গুতি ব্যাকহিল’ নামে অনেকেই মনে রেখেছেন।

বিরতির পরও দাপট বজায় রেখে খেলেছে রিয়াল। তবে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৮৪ মিনিট পর্যন্ত। প্রতি–আক্রমণ থেকে সালজবুর্গের এক ডিফেন্ডারের ভুলে বল পেয়ে যান রিয়ালের স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড গঞ্জালো গার্সিয়া। সালজবুর্গ গোলকিপারের ডান পাশ দিয়ে লব করে গোল করেন।

অসুস্থতার কারণে এ ম্যাচেও খেলতে পারেননি রিয়ালের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। ক্লাব বিশ্বকাপে এখনো মাঠে নামতে পারেননি এই ফরাসি তারকা। তবে লিংকন স্টেডিয়ামে ৬৪ হাজার ৮১১ জন দর্শক রিয়ালের খেলা উপভোগ করেছেন। বেলিংহামের পায়ে বল গেলে তাঁরা সবচেয়ে বেশি গলা ফাটিয়েছেন।

আরও পড়ুন

ভিনিসিয়ুসের গোলটি ছিল মৌসুমে ৫৫ ম্যাচে তাঁর ২২তম গোল, গোল বানিয়েছেন ১৬টি। তবে এ গোলটি করে মৌসুমে সবচেয়ে বেশি সময়ের গোলখরা কাটালেন ব্রাজিল তারকা। সালজবুর্গের আগে ভিনি রিয়ালের হয়ে সর্বশেষ গোল করেছিলেন গত ১৬ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনালের বিপক্ষে। এরপর টানা ৮ ম্যাচে গোল পাননি, যদিও ৩টি গোল বানিয়েছেন এ সময়। ভালভের্দেকে দেওয়া দারুণ ব্যাকপাসটি নিয়ে ম্যাচ শেষে ভিনি বলেছেন, ‘গোল বানাতে পছন্দ করি। সবাই ভেবেছিল শট নেব। ফেদে পেছন থেকে চিৎকার করলে তাকে দিই (পাস)। আজকের খেলায় খুব সন্তুষ্ট।’

ম্যাচে এমন আনন্দময় সময়ই কেটেছে ভিনির
এএফপি

ভিনি নিজেই জানিয়েছেন, ব্যাকপাসটি দিয়ে তাঁর গুতিকে মনে পড়েছে। রিয়ালের হয়ে ১৫টি ট্রফি জেতা সাবেক এই ফুটবলার ও ব্যাকপাসটি নিয়ে ভিনি বলেছেন, ‘(গোলের) ভিডিও দেখিনি কিন্তু গুতির কথা মনে পড়েছে। তিনি এই ক্লাবের কিংবদন্তি। আমার ক্যারিয়ারে এটা অন্যতম সুন্দর (অ্যাসিস্ট) এবং সবচেয়ে বড় কথা এটা ছিল ফেদের জন্য। সে সব সময়ই আমাকে খুব সমর্থন দেয়।’