জাপান জিতে গেলে অবাক হব না

এশিয়ার দুই শক্তি আজ শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে নামছে। সেই লড়াইয়ে হারাতে হবে দুই শক্তিধর প্রতিপক্ষকে। জাপানের সামনে গতবারের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়া। তবে জাপান জিতে গেলে অবাক হব না। তুলনায় দক্ষিণ কোরিয়া রীতিমতো ‘বাঘের’ সামনে। ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে খেলা অনেক কঠিন, অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের হবে কোরিয়ানদের জন্য। তাই ব্রাজিলকেই এগিয়ে রাখছি।

ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জাপানকে অবশ্য সেভাবে পরিষ্কার ফেবারিট বলতে পারছি না। তবে ওরা যদি শেষ মিনিট পর্যন্ত নিজেদের ছন্দটা ধরে রাখতে পারে এবং টেকনিক্যাল দিকটা ঠিক রাখে, তাহলে জাপানের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা আছে।

এই সম্ভাবনার কথা বলছি জাপানের সামর্থ্যের কারণেই। ওদের বৈশিষ্ট্য হলো, ম্যাচের পুরো সময়টা একই উদ্যমে খেলে। বল পায়ে যেমন, বল ছাড়াও তেমন। অন্য অনেক দলের চেয়ে জাপান কিছুটা আলাদা তাদের বিপুল প্রাণশক্তির কারণেও। তবে জাপানের বড় সমস্যা, প্রচুর এলোমেলো শট নেয় ওরা। এই জায়গায় আরেকটু উন্নতি করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

ক্রোয়েশিয়াকে এবার একটু বয়সী টিম লাগছে। একটা সময় পর্যন্ত ওরা ম্যাচের মেজাজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না। তবে বিশ্বমানের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে ক্রোয়েশিয়ার। লুকা মদরিচ এই দলের বড় শক্তি। এদের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে নিচ্ছে ক্রোয়েশিয়াকে। মাঝমাঠ খেলা তৈরির প্রয়োজনীয় রসদ আছে দলটির। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ক্রোয়াটরা ফিনিশিংয়ে ভালো করেছে।

আরও পড়ুন

জাপানের মতো দক্ষিণ কোরিয়াও দুর্দান্ত খেলছে। দুই দলের খেলা, মাঠে দৌড়াদৌড়ি সবই প্রায় একই রকম। তবে জাপানের চেয়ে কোরিয়ার খেলোয়াড়দের শুটিং ক্ষমতা কিছুটা নিখুঁত। এই জায়গায় ব্রাজিলের ডিফেন্ডারদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

অবশ্য ব্রাজিল নামেই এক শ। নিজেদের উইং প্লে এবং এক-দুই টাচে খেলার স্বাভাবিক ধারাটা রাখতে পারলে হলুদ-নীল জার্সিধারীরাই প্রশ্নাতীতভাবে ফেবারিট।