টুইটে সরকারের অভিবাসননীতির সমালোচনা করেছিলেন লিনেকার, ‘সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি নিষ্ঠুর নীতি, যা ত্রিশের দশকের জার্মানির চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়।’ অর্থাৎ নাৎসি যুগের জার্মানির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের তুলনা করেছিলেন ’৮৬ বিশ্বকাপে ‘গোল্ডেন বুট’জয়ী লিনেকার। ৬২ বছর বয়সী বার্সেলোনা ও টটেনহামের সাবেক এ স্ট্রাইকারকে শুক্রবার নিজেদের অনুষ্ঠান ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ থেকে প্রত্যাহার করে নেয় বিবিসি।

এরপর পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন পিএফএ জানায়, ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়েরা বিবিসিকে কোনো সাক্ষাৎকার দেবেন না, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ অনুষ্ঠানেও। একের পর এক উপস্থাপক ও বিশ্লেষক অনুষ্ঠান চালিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানানোয় শেষ পর্যন্ত খেলার ভিডিও ফুটেজ দিয়ে অনুষ্ঠানটি চালাতে হয় এবং অনুষ্ঠানের সময়সীমাও নেমে আসে ২০ মিনিটে। পরে ধারাভাষ্যও বন্ধ রাখতে হয় বিবিসিকে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চান বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডাভি।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আজ দুই পক্ষ একমত হওয়ার পর লিনেকারের বিবিসি ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’ অনুষ্ঠানে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বিবিসির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে রিভিউয়ের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। তবে এই রিভিউ হবে অভ্যন্তরীণ।

টিভ ডাভি বলেছেন, ‘গ্যারি বিবিসির মূল্যবান অংশ এবং বিবিসি গ্যারির কাছে কতখানি, সেটাও আমি জানি। আগামী সপ্তাহে আমরা তাঁর সঞ্চালনা দেখার অপেক্ষায় আছি।’ এক যৌথ বিবৃতিতে লিনেকার বলেছেন, ‘সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বের হওয়ায় ভালো লাগছে। এই রিভিউ আমি সমর্থন করি এবং সঞ্চালনা শুরুর অপেক্ষায় আছি।’