মেসি, নেইমার, ডি ব্রুইনা—গোলে সহায়তায় এ মৌসুমে কে কোথায়

এ মৌসুমে গোলে সহায়তায় শীর্ষ তিনে আছেন মেসি, নেইমার ও ডি ব্রুইনাছবি : সংগৃহীত

ফুটবল নিয়ে যত উন্মাদনা, তার বেশির ভাগই গোলদাতাদের নিয়ে। অথচ যিনি গোলে সহায়তা করেন, তিনি রয়ে যান আড়ালে। ‘পুরস্কার-টুরস্কারও’ খুব একটা জোটে না। প্লে-মেকার বা বল বানিয়ে দেওয়াদের নিয়ে খুব একটা চর্চাও করে না বেশির ভাগ মানুষ। তবে তাঁদের অবদান অস্বীকার করার বা লুকিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

লিওনেল মেসির কথাই ধরুন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসির খেলার ধরনও বদলে গেছে। এখন গোল করার চেয়ে সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোতেই যেন বেশি তৃপ্তি তাঁর। এই তো পরশু রাতে ব্রেস্তের বিপক্ষে তাঁর বাড়ানো বলেই গোল করে পিএসজিকে জিতিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। সেটা ছিল ক্লাব ফুটবলে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের ৩০০তম অ্যাসিস্ট।

এখন পাঠকের মনে কৌতূহল জাগতে পারে, এ মৌসুমে ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে কে সবচেয়ে বেশি গোলে সহায়তা করেছেন। অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন মেসি যেহেতু ফরোয়ার্ড, তাই অ্যাসিস্টের তালিকার শীর্ষে তাঁর নাম থাকার সম্ভাবনা কম।

তবে ‘এফবিরেফ’ দিচ্ছে ভিন্ন তথ্য। ফুটবল পরিসংখ্যানবিষয়ক এই ওয়েবসাইট বলছে, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শীর্ষ পাঁচ লিগের চলমান মৌসুমে গোলে সহায়তায় সবার ওপরে মেসি। পিএসজি মহাতারকা এখন পর্যন্ত সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন সর্বোচ্চ ১৩ গোল। ফরাসি লিগ আঁ-তে তিনি অ্যাসিস্টগুলো করেছেন ৯টি ম্যাচে। সব কটিতেই জিতেছে পিএসজি।

মেসির পরেই আছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার গোল করায় বলের জোগান দিয়েছেন ১২ বার। ডি ব্রুইনাকে এত দিনে হয়তো ছাড়িয়ে যেতে পারতেন নেইমার। অ্যাঙ্কেলের চোটে মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার আগে ১১ গোলে সহায়তা করে তালিকার তিনে আছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।

শীর্ষ পাঁচের পরের নামটা অনেকের কাছে অপরিচিত লাগতে পারে। তবে কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের কথা মনে করিয়ে দিলে তাঁকে যে কারও চেনার কথা। অতিরিক্ত সময়ের অন্তিম মুহূর্তে যাঁর শট অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, সেই কোলো মুয়ানি আছেন চারে। জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের এই ফরাসি ফরোয়ার্ড ১০টি গোলে সহায়তা করেছেন।

৯টি করে অ্যাসিস্টে যৌথভাবে পাঁচে আছেন নাপোলির ‘নতুন ম্যারাডোনা’খ্যাত খিচা কাভারাস্কেইয়া ও আর্সেনাল উইঙ্গার বুকায়ো সাকা। দুজনের দলই আছে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার চূড়ায়।

২১ বছর বয়সী সাকাকে মৌসুমের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বিবেচনা করা হচ্ছে। আর কাভারাস্কেইয়া নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছেন। ভিক্টর ওসিমহেনের সঙ্গে তিনি গড়ে তুলেছেন ভয়ংকর আক্রমণভাগ। এই তো পরশুই আতালান্তার বিপক্ষে একক নৈপুণ্যে চোখজুড়ানো এক গোল করেছেন কাভারাস্কেইয়া, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গেছে।