ইয়ামালকে ৩২১ পয়েন্টে হারিয়ে ব্যালন ডি’অর দেম্বেলের

এবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন পিএসজি তারকা উসমান দেম্বেলেএএফপি

পাঁচ দিন আগেই ব্যালন ডি’অর জিতেছেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলে। তিনি কত ভোট পেয়েছেন, তা নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। গতকাল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাওয়া খেলোয়াড়দের ভোটসংখ্যা প্রকাশ করেছে ব্যালন ডি’অরের প্রবর্তক ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যালন ডি’অরের এক্স হ্যান্ডলে শীর্ষ ১০ খেলোয়াড়ের ভোট পাওয়ার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ছেলেদের বিভাগে ব্যালন ডি’অরজয়ী দেম্বেলে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৩৮০ পয়েন্ট পেয়েছেন। ১ হাজার ৫৯ পয়েন্ট পেয়েছেন তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও স্পেনের উইঙ্গার লামিনে ইয়ামাল। অর্থাৎ ইয়ামালের সঙ্গে ৩২১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন দেম্বেলে। তৃতীয় পিএসজির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়া পেয়েছেন ৭০৩ পয়েন্ট।

মেয়েদের বিভাগে ব্যালন ডি’অরজয়ী বার্সেলোনা ও স্পেনের মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫০৬ পয়েন্ট। দ্বিতীয় আর্সেনাল ও স্পেনের মিডফিল্ডার মারিওনা কালদেন্তে পেয়েছেন ৪৭৮ পয়েন্ট। আর্সেনাল ও ইংল্যান্ডের ফরোয়ার্ড অ্যালেসিয়া রুশো ৪২০ পয়েন্ট পেয়ে তৃতীয়।

ছেলেদের বিভাগে শুধু দেম্বেলে ও ইয়ামাল ন্যূনতম এক হাজার পয়েন্ট পেয়েছেন। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া ১০ খেলোয়াড়ের মধ্যে পাঁচজন পিএসজির—দেম্বেলে, ভিতিনিয়া, আশরাফ হাকিমি (৪৮৪ পয়েন্ট, ষষ্ঠ), জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (১৭২ পয়েন্ট, নবম) ও নুনো মেন্দেজ (১৭১ পয়েন্ট, দশম)। চলতি মাসের শুরুতে পিএসজি ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন দোন্নারুম্মা।

প্রথম আলো গ্রাফিকস

গত মৌসুমে পিএসজির ‘ট্রেবল’ জয়ের অন্যতম নায়কও ছিলেন দোন্নারুম্মা। পিএসজি গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ আঁ ও ফ্রেঞ্চ কাপ জেতে। ক্লাবটির হয়ে গত মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল করার পাশাপাশি ১৬টি গোল বানান দেম্বেলে।

শীর্ষ দশে একমাত্র ব্রাজিলিয়ান রাফিনিয়া। বার্সেলোনার এই উইঙ্গার পাঁচে থেকে ৬২০ পয়েন্ট পেয়েছেন। চতুর্থ মিসর ও লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ পেয়েছেন ৬৫৭ ভোট। এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ১৩ জুলাই পর্যন্ত পারফরম্যান্স।

আরও পড়ুন

ফুটবলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবচেয়ে সম্মানজনক বর্ষসেরার এ পুরস্কারে শুরুতে শুধু ফুটবল সাংবাদিকেরাই ভোট দিতেন। জাতীয় দলের কোচ ও অধিনায়কেরা ভোট দেওয়ার সুযোগ পান ২০০৭ সাল থেকে। কিন্তু ২০১৬ সালে আবারও ফুটবল সাংবাদিকদের ভোটে ফিরে যায় ফ্রান্স ফুটবল। ২০২২ সালে নিয়মটি আবারও পাল্টানো হয়। সে বছর থেকে শুধু ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০-তে থাকা দেশের একজন করে সাংবাদিক পান ভোটাধিকার।

প্রথম আলো গ্রাফিকস

এই নিয়মের অধীনে এখন ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০টি দেশের ফুটবল সাংবাদিকেরা ভোট দেন। প্রত্যেকে নিজের শীর্ষ ১০ ঠিক করেন—প্রথম স্থানে থাকা খেলোয়াড় পান ১৫ পয়েন্ট, দ্বিতীয় ১২, তৃতীয় ১০; এরপর ক্রমানুসারে ৮, ৭, ৫, ৪, ৩, ২ আর ১ পয়েন্ট। সব ভোট যোগ করে যিনি সর্বোচ্চ পয়েন্ট পান, তিনিই ব্যালন ডি’অর জেতেন।

পয়েন্ট সমান হলে প্রথম স্থান পাওয়া ভোটের সংখ্যা গুনে দেখা হয়, তাতেও সমান হলে দ্বিতীয় স্থানের ভোট দেখা হয়, এভাবে চলতে থাকে। পুরস্কার ঘোষণার পর সব ভোট প্রকাশ করা হয়।

আরও পড়ুন