আর্জেন্টাইনদের কাছে ম্যারাডোনা নয়, মেসিই সেরা

ডিয়েগো ম্যারাডোনা ও লিওনেল মেসিছবি: টুইটার

কাতারে আর্জেন্টিনা দল বিশ্বকাপ জেতার পর জরিপটি চালানো হয়। কে সেরা? লিওনেল মেসি না ডিয়েগো ম্যারাডোনা? আর্জেন্টিনায় গত জানুয়ারিতে এই জরিপ করা হয়। তাতে মেসিকেই ম্যারাডোনার চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন আর্জেন্টাইনরা।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আর্জেন্টিনার সরকার, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কৌশলগত পরামর্শ দেওয়া ছাড়াও তথ্য-বিশ্লেষণ ও জনমত জরিপ করতে ‘ওপিনা আর্জেন্টিনা’ নামে একটি ওয়েবসাইট আছে। এই প্রতিষ্ঠান জানুয়ারিতে প্রশ্নটি নিয়ে জাতীয়ভাবে জরিপ চালায়। সেখানে মেসির পক্ষেই সেরা ফুটবলারের রায় দিয়েছেন জরিপে অংশ নেওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ আর্জেন্টাইন।

তবে সমাজের নিচু্স্তরে ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা বেশি। ওপিনা আর্জেন্টিনার টুইটে বলা হয়, ‘মেসির আধিপত্যের পরও জনপ্রিয়তার কোটায় ডিয়েগোকেই সবাই বেশি পছন্দ করে। আর্থসামাজিক অবস্থানের নিচু স্তরে ৪৯ শতাংশ মনে করেন, ম্যারাডোনাই সেরা আর ৪৫ শতাংশ মনে করেন মেসি সেরা।’

মেসি ও ম্যারাডোনাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে দেখা হয়
ছবি: টুইটার

গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে জরিপ চালানো হয়। জরিপে অংশ নেওয়া ১১০০ আর্জেন্টাইনের মধ্যে ৬০ শতাংশ মেসিকে সেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ২৮ শতাংশ নাগরিক মনে করেন, মেসি নয় ম্যারাডোনাই সেরা। আর বাকি ১২ শতাংশ হয় ‘উত্তর দেননি কিংবা জানেন না।’ স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ ও আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ জানিয়েছে, নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা বিচারেও ম্যারাডোনার চেয়ে মেসি এগিয়ে। ৬৯ শতাংশ আর্জেন্টাইন নারী মনে করেন মেসিই সেরা।

আরও পড়ুন

তবে অবাক করা বিষয় হলো, ৫০ বছরের পেরিয়ে যাওয়া বয়স্কদের মাঝে মেসির জনপ্রিয়তা বেশি। ৬৩ শতাংশ প্রবীণ মনে করেন মেসিই সেরা। আর ২৩ শতাংশ ম্যারাডোনার পক্ষে। ৩০ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের মাঝেও মেসির জনপ্রিয়তা বেশি। এই বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ৫৫ শতাংশ মেসিকে ম্যারাডোনার চেয়ে এগিয়ে রেখেছেন। ২৮ শতাংশ নাগরিক আবার ম্যারাডোনাকে মেসির চেয়ে এগিয়ে রাখেন। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মাঝেও মেসির একাধিপত্য। ৬২ শতাংশের কাছে মেসিই সেরা, ম্যারাডোনার পক্ষে ৩৫ শতাংশ নাগরিক।

আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ম্যারাডোনা। ফুটবল ইতিহাসেই তিনি অন্যতম সেরা। মেসি গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনার ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে জিতিয়েছেন বিশ্বকাপ। তাঁকেও ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা হিসেবে দেখা হয়।