আজ কি নেপাল থেকে ফিরতে পারবে বাংলাদেশ দল
এখনো কাটেনি অনিশ্চয়তা। নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার আমের খানও। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় নেপাল থেকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনো দেশে ফেরার অপেক্ষায়।’
বেশ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিবাদে এবং সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাতে গত সোমবার নেপালের হাজার হাজার মানুষ রাজধানী কাঠমান্ডুসহ সারা দেশে রাজপথে নেমে আসেন।
বিক্ষোভ দমনে কঠোর হয় সরকার। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৯ জন নিহত হন। আহত হন আরও কয়েক শ বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। বন্ধ করে দেওয়া হয় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এমন অস্থিরতা দেখেই গতকাল দেশে ফেরার বিমান ধরতে চেয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করায় ফুটবলাররা টিম হোটেল থেকে আর বের হতে পারেননি।
গত দুই দিনের তুলনায় আজ পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। তবে বাংলাদেশ দলের ফেরাটা নির্ভর করছে বিমানবন্দর খুলে দেওয়ার ওপর। ম্যানেজার আমের জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হতে পারে, ‘এখানে তো সব অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে। ফ্লাইটও বন্ধ। শুনতেছি দুপুর ১২টার পর নাকি এয়ারপোর্ট খুলবে। এরপর কার্যক্রম শুরু হবে। তখন হয়তো ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ দলের সঙ্গে আছেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার ও বাফুফে নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন। কাঠমান্ডু থেকে তিনি জানিয়েছেন, ফুটবল দলকে দ্রুত দেশে ফেরাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে, ‘এখানকার দূতাবাস কাজ করছে। বাংলাদেশ থেকেও চেষ্টা চলছে। কারণ, কারফিউ তো বেলা ৩টা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার এয়ারপোর্টও বন্ধ। দেখা যাক কী হয়। আমরা দ্রুত দেশে ফেরার চেষ্টা করছি।’
এশিয়ান কাপ বাছাই সামনে রেখে ৩ সেপ্টেম্বর নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। প্রথম ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হলেও নেপালে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচটি স্থগিত করা হয়।
অক্টোবরে ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তৃতীয় রাউন্ডের এ ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ অক্টোবর ঢাকায় এবং ১৪ অক্টোবর হংকংয়ে।