১৩ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলান

ইন্টার মিলানের উচ্ছ্বাস। লাওতারো মার্তিনেজ ও রোমেলু লুকাকুর গোল উদযাপন।রয়টার্স

ইন্টার মিলান ১ (৩) : ০ (০) এসি মিলান

হুমকি-ধমকি ভালোই দিয়েছিলেন এসি মিলান কোচ স্তেফানো পিওলি। তা অবশ্য দিতেই হতো। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ইন্টার মিলানের কাছে ২-০ গোলে হেরেছিল তাঁর দল। ফিরতি লেগের আগে দলকে অনুপ্রাণিত করতে কিছু সাহসী কথাবার্তা বলতেই হতো পিওলিকে।

কিন্তু আদতে আজ  ফিরতি লেগে দেখা গেল মিলানের শুধু তর্জন-গর্জনই সার! সান সিরোতে প্রত্যাবর্তনের দারুণ কোনো গল্প তো লিখতে পারলই না পিওলির দল, উল্টো নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের কাছে এবারও হারল ১-০ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে জিতে ১৩ বছর পর ইন্টার মিলান উঠে গেল চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে।

লাওতারো মার্তিনেজের উচ্ছ্বাস
রয়টার্স

আগামী ১০ জুন ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক স্টেডিয়ামের সেই ফাইনালে ইন্টারের প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি। প্রাসঙ্গিকভাবে জানিয়ে রাখা ভালো, ২০০৯-১০ মৌসুমে সর্বশেষ  ইন্টার যখন ফাইনাল খেলেছিল, বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফিও তারাই জিতেছিল।  

আরও পড়ুন

সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ছিল এসি মিলানের ‘হোম’ ম্যাচ। যেখানে দাপটের সঙ্গে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার। একই মাঠে আজ নিজেদের ‘হোম’ ম্যাচে সিমোন ইনজাগির দল এতটা দাপট দেখাতে না পারলেও আসল কাজটা ঠিকই করে গেছে, রক্ষণ সামলেছে দারুণভাবে। মিলান সমর্থকেরা তারপরেও হয়তো আশায় ছিলেন, যেকোনো সময় একটা গোলেই পাল্টে যেতে পারে ম্যাচের রং। সেই গোলটা হলো ম্যাচের ৭৪ মিনিটে, তবে মিলান নয়, গোল দিল ইন্টার। রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে দারুণ এক শটে ইন্টারকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লাওতারো মার্তিনেজ।

ইন্টার সমর্থকদের সঙ্গে গোল উদযাপন লাওতারো মার্তিনেজের
রয়টার্স

মিলানের আশা আসলেই ওখানেই শেষ। মিনিট দুয়েক পরে মার্তিনেজ আরও একটা গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা কোনোরকমে ঠেকিয়ে দেন মিলান গোলরক্ষক মাইক মাইনান।

 এই মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে চারবার নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারাল ইন্টার মিলান। এর আগে এমন সৌভাগ্য  আরও একবার হয়েছিল ইন্টারের, ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে।  

আরও পড়ুন

সুযোগ মিলান ভালোই পেয়েছিল। ম্যাচের মিনিট পাঁচেকের দিকেই থিও এরনান্দেজের শট চলে যায় ইন্টারের ক্রসবার ঘেঁষে। মিনিট দশেকের দিকে ব্রাহিম দিয়াজ তো ফাঁকা জাল পেয়ে প্রায় গোল করেই বসেছিলেন, তবে কোনোরকমে গোললাইন থেকে হেড করে ইন্টারকে বাঁচিয়ে দেন  মাত্তেও দারমিয়ান। পরের মিনিটেই দিয়াজ নষ্ট করেন আরেকটা সুযোগ। ৩৮ মিনিটে রাফায়েল লিয়াও করেছেন একটা। শেষ পর্যন্ত এসব ভুলের খেসারতই দিয়েছে মিলান। সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাওতারো মার্তিনেজ ঠুকে দিয়েছেন মিলানের কফিনে শেষ পেরেকটাও।  

আরও পড়ুন