আর্জেন্টিনা ফুটবলের সদর দপ্তরে আবারও কেন অভিযান পুলিশের

এজেইজায় আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুশীলন মাঠের গেটের সামনে পুলিশের গাড়ি। ছবিটি গতকাল তোলাএএফপি

মাঠের ফুটবলে আর্জেন্টিনা এখন মধ্যগগনে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সামনে এখন শিরোপা ধরে রাখার মিশন। কিন্তু মাঠের বাইরের সময়টা বোধহয় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না আলবিসেলেস্তেদের। গতকাল মঙ্গলবার খোদ আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফএ) সদর দপ্তরে হানা দিয়েছে পুলিশ। কর ফাঁকির এক বড় তদন্তের অংশ হিসেবেই রাজধানী বুয়েনস এইরেসে অবস্থিত দেশের ফুটবলের এই সর্বোচ্চ সংস্থায় এই অভিযান চালানো হয়।

আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে দক্ষিণ এজেইজার অনুশীলন কেন্দ্র—কোথাও তল্লাশি চালাতে বাদ রাখেনি পুলিশ। জানিয়ে রাখা ভালো, এই এজেইজাতেই মেসিরা জাতীয় দলের হয়ে অনুশীলন করেন। মূলত ‘ট্যুরপ্রোডএন্টার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই তদন্তের জাল গড়িয়েছে এএফএ পর্যন্ত। এই প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের এএফএর ‘একচ্ছত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক এজেন্ট’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

এজেইজায় এএফএর গেটের সামনে পুলিশের অবস্থান
এএফপি

তদন্তের তালিকায় আছে ‘সুর ফিনানজাস’ নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও। গত বছর আর্জেন্টিনার ঘরোয়া লিগ ও জাতীয় দলের স্পন্সর ছিল তারা। এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়ার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বেশ খাতির বলে গুঞ্জন আছে। অভিযোগ উঠেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫৫ কোটি ডলার কর ফাঁকি দিয়েছে। টাকার অঙ্কটা শুনলে যে কারও চোখ কপালে ওঠার কথা!

আরও পড়ুন

তবে এএফএ এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, তারা আসলে নোংরা এক প্রচারণার শিকার। জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচ আয়োজন নিয়ে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিরোধের জেরে এই কলঙ্কজনক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই সরকারেরও জানা আছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

এই ঘটনার পেছনে ভিন্ন এক রাজনৈতিক লড়াইয়ের গন্ধও পাচ্ছেন অনেকে। প্রেসিডেন্ট মিলেই চান আর্জেন্টিনার ফুটবল ক্লাবগুলো অলাভজনক সংস্থা থেকে পাবলিকলি ট্রেডেড স্পোর্টস কোম্পানিতে রূপান্তর হোক। কিন্তু এএফএর বর্তমান আইনে তেমনটা করার সুযোগ নেই।

আরও পড়ুন