কোচ হয়ে ইতালিতে ফিরলেন পিরলো

ইতালিয়ান কিংবদন্তি আন্দ্রেয়া পিরলোছবি: রয়টার্স

ইতালিয়ান কিংবদন্তি আন্দ্রেয়া পিরলো কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন বড় সম্ভাবনা নিয়ে। জুভেন্টাসের মতো দলের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। কিন্তু সেই যাত্রা মোটেই মনে রাখার মতো হয়নি। বাস্তবতা বুঝেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই। ব্যর্থতার দায়ে এক মৌসুম পরেই ছাঁটাই করা হয় ইতালির বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকে।

এরপর এক বছর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নেননি পিরলো। ২০২২ সালের শুরুতে চলে যান তুরস্কের ক্লাব ফেইথ কারাগুমরুখে। এই ক্লাবের হয়ে এক বছর কাটানোর পর গত মে মাসে মৌসুম শেষ হওয়ার আগে আবার ছাঁটাইয়ের মুখে পড়তে হয় এই কিংবদন্তি মিডফিল্ডারকে। এখন আবার ইতালির ক্লাবে ফিরে এসেছেন পিরলো। দুই বছরের জন্য সিরি ‘বি’র ক্লাব সাম্পদোরিয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন পিরলো।

আরও পড়ুন

গত মৌসুমটা খুব বাজে শেষ করেছেন সাম্পদোরিয়া। ৩৮ লিগ ম্যাচের মাত্র ৩টিতে জিতেছে তারা। এ ছাড়া ১০টি ড্রয়ের বিপরীতে হার ছিল ২৫ ম্যাচে। লিগ টেবিলে দলটির জায়গা হয়েছে সবার নিচে, যার কারণে সিরি ‘বি’তে নেমে গেছে সাম্পদোরিয়া। দলের এমন বাজে অবস্থার কারণে অনুমেয়ভাবেই যেতে হয়েছে কোচ দেজান স্তানকোভিচ। এখন ক্লাবের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জের সামনে পড়েছেন পিরলো।

আরও পড়ুন

জুভেন্টাস ও কারাগুমরুখের হয়ে শিরোপা বিবেচনায় ব্যর্থ হলেও পরিসংখ্যান কিন্তু পিরলোর পক্ষেই কথা বলছে। ৫২ ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে দলকে জিতিয়েছিলেন ৩৪ ম্যাচে। এ ছাড়া ড্র করেছেন ১০ ম্যাচে এবং বাকি ৮ ম্যাচে দেখতে হয়েছে হার। কারাগুমরুখেও তাঁর হারের চেয়ে জয়ের পাল্লা ছিল ভারী। ৩৬ ম্যাচে ১৩ জয়ের বিপরীতে হেরেছেন ১১ ম্যাচে, আর ড্র করেছেন ১২ ম্যাচে। মৌসুম শেষে তুরস্কের লিগে দলটির অবস্থান ছিল ৭ নম্বরে।

খেলোয়াড় হিসেবে সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছিলেন। কিন্তু কোচিং ক্যারিয়ারে এখনো তাঁর ঝলক দেখাতে পারেননি পিরলো। এখন সাম্পদোরিয়ার হয়ে দারুণ কিছু করে কোচ হিসেবে নিজের সামর্থ্য প্রমাণের আরেকটি সুযোগ পেলেন পিরলো। সেই সুযোগ তিনি কতটা কাজে লাগাতে পারবেন, তা সময়ই বলবে।