সান্তোসের অবনমন ঠেকিয়ে চিকিৎসকের ছুরির নিচে যাচ্ছেন নেইমার

সান্তোসের অবনমন ঠেকানোর আনন্দে এভাবেই মাঠে বসে পড়েন নেইমার। ধন্যবাদ জানান সৃষ্টিকর্তাকেএক্স/সান্তোস

ক্রুজেইরোর বিপক্ষে ৩–০ গোলের জয়ে ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ থেকে অবনমন ঠেকিয়েছে নেইমারের সান্তোস। এর আগে ২০২৩ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অবনমিত হয়েছিল সান্তোস। এবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তির শঙ্কায় পড়েছিল সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার পেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্লাবটি। কিন্তু শেষ দিকে নেইমারের দৃঢ়তায় বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে ক্লাবটি।

দলের অবনমন ঠেকানো নিশ্চিত করতে শেষ তিন ম্যাচে চোট নিয়েই খেলার সিদ্ধান্ত নেন নেইমার। তিনটি ম্যাচেই সান্তোস জিতেছে ৩–০ ব্যবধানে। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচে নেইমার এক গোল নিজে করেন এবং অন্যটিতে করেন সহায়তা। দ্বিতীয় ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন।

গতকাল রাতে শেষ ম্যাচে গোল না পেলেও পুরো ৯০ মিনিট খেলে দারুণ পারফর্ম করেছেন এই ফরোয়ার্ড, যা শেষ পর্যন্ত বড় জয় এনে দিয়েছে সান্তোসকে এবং দলের শীর্ষ লিগে থাকাও নিশ্চিত করে। ক্রুজেইরোর বিপক্ষে জয়ের পর ৩৮ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করল সান্তোস।

আরও পড়ুন

জয়ের পর ৩৩ বছর বয়সী নেইমার তাঁর বাঁ হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে খেলার সময় চোটে পড়েন নেইমার। এরপর ব্রাজিলের জার্সিতে আর খেলতে পারেননি। সেই চোট এখনো নানাভাবে ভোগাচ্ছে নেইমারকে।

চোটে আক্রান্ত নেইমার গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল থেকে শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরে যান। এই ক্লাবেও চোট অনেক ভুগিয়েছে তাঁকে। এরপরও অবশ্য যখনই সুযোগ পেয়েছেন ক্লাবকে সাহায্য করেছেন।

এমনকি শেষ পর্যন্ত দলের অবনমন ঠেকানোর ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা অনবদ্য। ৩৮ ম্যাচের লিগে নেইমার খেলেছেন ২০ ম্যাচ, যেখানে তিনি করেছেন ৮ গোল। শেষ তিন ম্যাচেই নেইমার করেছেন ৪ গোল।

ম্যাচ শেষে নেইমার বলেছেন, ‘যতটা সম্ভব সেরাভাবে দলকে সাহায্য করার জন্য আমি এখানে এসেছি। এই কয়েকটা সপ্তাহ আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। যারা আমার পাশে থেকে আমাকে শক্তি দিয়েছে, তাদের ধন্যবাদ। তারা না থাকলে এই চোট ও হাঁটুর সমস্যার কারণে আমি এই ম্যাচগুলো খেলতে পারতাম না। এখন আমাকে বিশ্রাম নিতে হবে, তারপর আমরা হাঁটুর অস্ত্রোপচার করব।’

আরও পড়ুন

নেইমার অবশ্য নিজের হাঁটুর চোট এবং অস্ত্রোপচার নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি এখনো আশা করছেন যে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ব্রাজিল দলে তাঁকে রাখা হতে পারে।

কোচ কার্লো আনচেলোত্তি গত মে মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এখনো নেইমারকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করেননি। পাশাপাশি পুরোপুরি ফিট না হওয়া পর্যন্ত নেইমারকে দলে না ডাকার বার্তাও দিয়ে রেখেছেন তিনি। এখন অস্ত্রোপচারের ধাক্কা সামলে বিশ্বকাপের আগে নেইমার পুরোপুরি ফিট হতে পারেন কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।