ভিনির চোখধাঁধানো গোলটি যেখানে ‘প্রথম’

কাল ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সেই চোখ ধাঁধানো গোলটির মুহূর্তছবি: রয়টার্স

ম্যাচের নায়ক হতেই পারতেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রিয়াল মাদ্রিদ যদি ম্যাচটা জিততে পারত। গতকাল বার্নাব্যুর ‘রাজা’ তো ছিলেন তিনিই। অনেকেই বলছেন, খেলাটি বড় অংশজুড়েই ছিল ভিনিসিয়ুস বনাম ম্যানচেস্টার সিটির লড়াই। ৩৬ মিনিটে অসাধারণ এক দূরপাল্লার শটে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে এগিয়ে নিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদকে। গোটা ম্যাচেই সিটির রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তির প্রিয় খেলোয়াড় ভিনিসিয়ুস। ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইতালিয়ান এই কোচ।

গত মার্চে আন্তর্জাতিক বিরতির পর ফিরে ভিনিসিয়ুস রিয়ালের প্রতিটি ম্যাচেই গোল করেছেন অথবা গোলে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। গত রোববারই রিয়াল ওসাসুনাকে হারিয়ে কোপা দেল রে জিতেছে, সেখানেও ছিল ভিনির গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

আরও পড়ুন
ম্যাচের বেশিরভাগ জুড়েই রাজত্ব করেছেন ভিনিসিয়ুস
ছবি: রয়টার্স

সিটির ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকারকে পুরো ম্যাচেই ব্যস্ত রেখেছিলেন ভিনি। প্রতি–আক্রমণ থেকে চোখধাঁধানো শটে গোলটি করেন। আক্রমণটি শুরু করেছিলেন এদুয়ার্দো কামভিঙ্গা। মাঝখানে লুকা মদরিচের পা ঘুরে কামাভিঙ্গাই খুঁজে নেন ভিনিসিয়ুসকে। এরপর ভিনিসিয়ুস গোলে শটটি নিয়েই উদ্‌যাপনে মেতে ওঠেন। তাঁর স্বদেশি গোলরক্ষক এদেরসনের কোনো সুযোগই ছিল না ভিনিসিয়ুসের শটটি ঠেকানোর।

দুর্দান্ত গোলের পর সতীর্থ রদ্রিগোর সঙ্গে ভিনিসিয়ুস
ছবি: রয়টার্স
আরও পড়ুন

দূরপাল্লার শট নিতে ভিনিকে সেভাবে দেখা যায় না। সাধারণত বক্সের ভেতর থেকেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন। ২৪ গজ দূরে থেকে করা গোলটি চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ খেলা ১০ ম্যাচে তাঁর ৭ম গোল। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে কাল রাতেই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে প্রথম গোলটি তুলে নেন ভিনিসিয়ুস। এর আগে এই টুর্নামেন্টে তাঁর করা ১৪ গোলের সব কটিই ছিল বক্সের ভেতর থেকে।

ভিনিসিয়ুসের সামনে কাল আর্লিং হলান্ড ছিলেন ম্রিয়মান
ছবি: রয়টার্স

সিটি স্ট্রাইকার আর্লিং হলান্ড কাল ভালো খেলতে পারেননি। সে কৃতিত্ব দিতে হবে দুই রিয়াল ডিফেন্ডার আন্তোনিও রুডিগার ও ডেভিড আলাবাকে। ভিনি কিন্তু কাল হলান্ডেরও মন জিতেছেন। ম্যাচ শেষে হলান্ড ঠিকই খুঁজে নিয়েছেন ভিনিসিয়ুসকে। দুজনে হেসে কথাও বললেন কিছুক্ষণ। দুজনের দারুণ মুহূর্তটি ফ্রেমবন্দীও হয়েছে। বার্নাব্যুর ম্যাচটিতে খেলার বাইরে ভিনি-হলান্ডের ছোট্ট ‘আড্ডা’ স্মরণীয় হয়ে থাকবে।