সৌদিদের বিশ্বাস, মেসি তাদের ওখানেই যাবে

মৌসুম শেষেই পিএসজি ছেড়ে যেতে পারেন মেসিছবি : এএফপি

পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তি ঝুলে যাওয়ার পর লিওনেল মেসির সম্ভাব্য গন্তব্য হিসেবে শোনা যাচ্ছিল আল-হিলালের নাম। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আল-নাসরে যাওয়ার পর সৌদি লিগের পরবর্তী লক্ষ্য এখন মেসিকে সেখানে নেওয়ার। আনুষ্ঠানিকভাবে না বললেও আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে পেতে আল-হিলালের রেকর্ড বেতনের প্রস্তাবও এরই মধ্যে সামনে আসে। তবে মেসির সৌদিযাত্রার গুঞ্জন ফিকে হয়ে আসে দৃশ্যপটে বার্সেলোনার আগমনের পর

সাম্প্রতিক সময়ে মেসির পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে বারবার সামনে এসেছে বার্সেলোনার নাম। যদিও দলবদলের বাজারে শেষ কথা বলে কিছু নেই; আর তাই মেসির সৌদি আরবে যাওয়ার সম্ভাবনাও এখনো শেষ হয়ে যায়নি। অন্তত সৌদি আরবে অনেকেই বিশ্বাস করে, মেসি শেষ পর্যন্ত মরুর দেশেই আসছেন।

আরও পড়ুন

মেসির সৌদি লিগে আসা নিয়ে দেশটির সমর্থক ও সংবাদমাধ্যমও বেশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন আল-ইত্তিফাকের কোচ আন্তোনিও কাজোরলা। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসির সৌদি লিগে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন এই স্প্যানিশ কোচ।

বার্সাও চায় মেসিকে
ফাইল ছবি

তিনি বলেছেন, ‘এটা নিয়ে এখানে অনেক কথা হচ্ছে। আমি জানি না কী হবে। তবে আমি নিশ্চিত, মেসি কিংবা আরও বড় অনেক তারকাকে আনতে তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

মেসির সৌদি আরবে খেলতে আসার ব্যাপারে অনেকে আত্মবিশ্বাসী জানিয়ে কাজোরলা আরও বলেছেন, ‘এখানে সমর্থক ও সংবাদমাধ্যম—দুই পক্ষই বিশ্বাস করে, তারা ঠিক পথেই আছে এবং তারা তাকে নিয়ে আসতে পারবে।’

আরও পড়ুন

রোনালদোর সৌদি প্রো লিগে খেলতে আসার বিষয়টি মেসিকে পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘ক্রিস্টিয়ানোর এখানে আসাটা মূলত টার্নিং পয়েন্ট। সৌদি লিগ এখন আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। আরও বেশি সংবাদমাধ্যম এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। স্পেনে প্রতিদিন আল-নাসর নিয়ে নতুন নতুন তথ্য শোনা যাচ্ছে। এটা আপনাকে বড় নামের গুরুত্বটা বুঝিয়ে দেয়। এখন লক্ষ্যটা হচ্ছে এ রকম বড় খেলোয়াড় আনার কাজ অব্যাহত রাখা। আল-নাসরের খেলা নিয়ে অনেক আগ্রহ এখানে। রোনালদোকে দেখতে প্রতিপক্ষের সমর্থকেরাও মাঠে আসছে।’

আরও পড়ুন

বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে সৌদি আরবের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কাজোরলা আরও বলেছেন, ‘তারা এটা অর্জনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা সেটা দেখতে পাবেন। তারা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে যে প্রতিটি দলে যেন আটজন করে বিদেশি খেলোয়াড় থাকে।’