আত্মবিশ্বাস নিয়ে মদিনা থেকে জামালদের দেশে ফেরা

মদিনায় অনুশীলনের এক ফাঁকে ফুরফুরে মেজাজে তারিক কাজী, এলিটা কিংসলে ও জামাল ভূঁইয়াছবি: বাফুফে

আফ্রিকার দেশ সেশেলসের সঙ্গে সিলেটে দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচেই জিততে চায় বাংলাদেশ। সৌদি আরব থেকে ফোনে আগেই এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা

একই কথা বলেছেন জাতীয় দলের স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান সজীবও। দীর্ঘ ৭ বছর পর আবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আমিনুর এবারের প্রিমিয়ার লিগের মুক্তিযোদ্ধার জার্সিতে ৩টি গোল করেছেন। ১৫ মার্চ মদিনায় ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ১২৪ নম্বরে থাকা আফ্রিকার দেশ মালাউইয়ের বিপক্ষে তাঁকে একাদশে রাখেন কোচ। সেই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করছি। সিলেটে সেশেলসের বিপক্ষে সিরিজটা আমরা ২-০ ব্যবধানে জিততে চাই।’

চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরা ডিফেন্ডার তপু বর্মণও খুশি মদিনায় এই সফর নিয়ে। সামগ্রিকভাবে সফরটা ভালো ছিল এবং সবাই মনোযোগী ছিলেন জানিয়ে তপুর কথা, ‘সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। যা যা করা দরকার কোচ সবই করেছেন। সিলেটের ম্যাচ দুটি আমাদের জিততে হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামব।’ জানালেন কোচের চাওয়াও, ‘কোচ মূলত চান বল পায়ে রেখে খেলতে। সেট পিচ নিয়ে কাজ করেছেন। বিগত কোচদের অনেককে দেখতাম লম্বা পাসে খেলাতেন। কিন্তু কাবরেরা চান পাসিং ফুটবল খেলে আক্রমণে যেতে। এসব নিয়েই মূলত কাজ হয়েছে মদিনায়।’

প্রথমবার মদিনায় আয়োজিত বাংলাদেশ দলের এই আবাসিক ক্যাম্পে ১০ দিনে ৯টি সেশন অনুশীলন সেশন হয়েছে। সেই ক্যাম্প শেষে আজ বিকেলে ঢাকা ফিরেছে বাংলাদেশ। রাতেই বাংলাদেশ দল চলে গেছে সিলেট।

মদীনায় কোচ কাবরেরার ক্লাসে খেলোয়াড়েরা
ছবি: বাফুফে

মদিনা সফরে বাংলাদেশ দল অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে দুটি। একটিতে প্রতিপক্ষ ছিল মদিনার অন্যতম শীর্ষ ক্লাব ওহুদ, অন্যটিতে মালাউই। দুটি ম্যাচই শেষ হয়েছে ১-১ গোলে।

দুটি ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ দল অনেক কিছু শিখতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন ফুটবলাররা। গোলকিপার আনিসুর রহমান যেমন ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভালো মাঠে অনুশীলন করেছি, এখন সিলেটের মাঠটা ভালো হলেই হয়। কোচ পাসিং ফুটবল ও ফিনিশিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি বল পায়ে কীভাবে বিল্ডআপ করতে হয়, কাজ করেছেন সেটা নিয়েও। কোচ বলেছেন, কোনো নেতিবাচক চিন্তা নয়, মাঠে থাকতে হবে ইতিবাচক।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে এসেছে বাংলাদেশ। সেশেলসের সঙ্গে তা কাজে লাগবে মনে করেন সহকারী কোচ হাসান আলম মামুন, ‘মদিনার ভিন্ন পরিবেশ ফুটবলারদের নতুনভাবে সবকিছু ভাবতে শিখিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী জুনে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশকে যেন ভালো কিছু উপহার দিতে পারি, সেই প্রার্থনাই করছি।’

মদীনায় অনুশীলন করে আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন ফুটবলাররা
ছবি: বাফুফে

এই সফরে ২৭ জন ফুটবলারের মধ্যে বেশ কয়েকজন নতুন ছিলেন, যাঁরা কোচের খেলার ধরনের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না। সেই প্রসঙ্গ টেনে মামুনের কথা, ‘মালাউইয়ের সঙ্গে আমরা অনেক ভালো খেলেছি, সৌদি আরবের স্থানীয় দলের সঙ্গে প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নিয়েছি। যে কারণে অনেকটা হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ হয়েছে। মালাউই একটা শক্তিশালী দল, তাদের সঙ্গে যেভাবে খেলেছি কোচিং স্টাফসহ সবাই উজ্জীবিত।’

এই সফরে ফুটবলারদের বাড়তি পাওনা—এক দিন সবাই মিলে ওমরাহ হজ পালন করেছেন।

আরও পড়ুন